এস এ আখঞ্জী,তাহিরপুরঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় এবার বোর ধানের বাম্পার ফলন হলেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাইব্রিড জাতের বি-২৮,২৯ ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়ে, সোনালী স্বপ্ন পুড়ে,দিশেহারা করে ফেলেছে কৃষকদের।এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকের ফসল, ফলনে নষ্ট হবার উপক্রম। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বালাই নাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রকার প্রতিকার পাচ্ছে না কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায় হাওর অধ্যুষিত তাহিরপুর উপজেলায় চলতি বোর মৌসুমে ছোট-বড় ২৩ হাওরে,১৭হাজার ৪শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরধানের চারা রোপন করা হয়েছে।
শনিবার (৮এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পালই হাওর,ফিংড়ার দাইড়, লতিফপুর, কাউকান্দি চক ও খাউজ্যাউরী হাওরসহ কয়েকটি হাওর ঘুরে দেখা গেছে, এই সমস্ত এলাকায় বি-২৮ ও বি-২৯ জাতের ধানে এই রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।প্রত্যাশানুযায়ী ফলন না পাওয়ায় দুশ্চিতায় পড়েছে কৃষক।
উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাটাবুকা গ্রামের ভূক্তভোগী কৃষক রিপসান হাবিব এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আগে ধরছে পোকায় এখন ধরছে সাদা মাইস্কা ধান গাছের আগাটা ভাঙ্গিয়া হেলিয়া ফেলে, ধানের পাতা সহ ধানের রং সাদা থাকলেও ভিতরে চাল নাই,ব্লাস্ট নামক এই রোগটি প্রায় দশ দিন ধরে এলাকার বি-২৮ ও বি-২৯ জাতের ধানে ছড়িয়েছে,। তিনি লতিফপুর হাওরে ২০ একর জমিতে বি-২৮ ও বি-২৯ সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন এর মধ্যে দুই একর বি-২৮ ও বি-২৯ জাতের ধানে এ রোগ আক্রমণ করায় সোনালী ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের কৃষক বকুল মিয়া জানান,, হাওরে বিআর-২৮ ও ২৯ ধান দুটিই করছি ধাপেধাপে কয়েকবার ঔষুধ দিছি কিন্তু কোন কাম হয় নাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান উর দৌলা বলেন,বোরো ধানের জমিতে অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার ও দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা এবং শিশির ভেজা সকাল,গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়।তবে শুরুতেই এর প্রতিষেধক দিলে প্রতিরোধ করা যায়।ধানে রোগ বালাই ও পোকাদমন রোধে গনসচেতনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।