দেবহাটায় হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির জমির ভুয়া দলিল করে ভিন্ন নামে রেকার্ড করে নেওয়ার চেষ্টার বন্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিক উপজেলার মাঘরী গ্রামের মৃত গোলক বিহারী ঘোষের ছেলে সম্ভু নাথ ঘোষ (৬৭) বাদি হয়ে মাননীয় ভূমি মন্ত্রী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর তফশীল জমি রেকর্ড অর্ন্তভূক্ত না হওয়ার জন্য এ আবেদন করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সুম্ভু নাথ ঘোষ উপজেলার সখিপুর মৌজায় জে এল নং-৪২, এস এ খতিয়ান নং-৩২৪, এসএ দাগ-৫২২, ৫৬১, মোট ৭৭ শতক জমির ৪১শতক ও ৩৬ শতক জমি পৈত্রিক এবং কিছু কোবলা দলিলমূলে খরিদকৃত মালিক। যা প্রায় কয়েক যুগ ধরে ভোগ দখলে আছে। এমনকি ওই জমি সম্ভু নাথ ঘোষের নিজ নামে তফশীল জমির নামপত্তন করায় প্রিন্ট পর্চা প্রকাশ আছে। পাশাপশি চলতি বছরের অনলাইনে খাজনা, দাখিলা প্রদান করেছেন তিনি। কিন্তু কাজীমহল্যা গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দীন সরদারের ছেলে আব্দুল করিম একজন মুহুরী হওয়ায় জালিয়াতির আশ্রায় নিয়ে তার শ্বাশুড়ি চক-মোহাম্মাদালীপুর গ্রামের মৃত আরিজুল্লাহ গাজী (আদু) এর স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের নামে ৬৮/১৯৬৯ নং একটি ভুয়া দলিল করে। কিন্তু সাতক্ষীরা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে এই নম্বরের কোন দলিলের সন্ধান মেলেনি।
সুম্ভু নাথ ঘোষ জানান, আমার পৌত্রিক ৩৭ শতক এবং মোট ৭ জন ব্যক্তির নিকট থেকে আরো ৪০ শতক জমি কোবলামূলে ক্রয় করি। পরবর্তীতে সরকারি নিয়ম মেনে খাজনা পরিশোধ করি এবং মাঠ পর্চা ও প্রিন্ট পর্চা আমার নামে প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন আগে নায়েব আমাকে ডেকে পাঠান। আমি সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে আমার নামের জমি রাবেয়া খাতুনের নামে রেকার্ড করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি ১৯৬৯ সালের একটি দলিল করে ওই জমি তার বলে দাবি করেন। এমনকি তিনি ০৬/০১/২০২২ সালে সাতক্ষীরা ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইবুনানে ১০১/২২নং মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ২৫/০৭/২০২৩ সালে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এক তরফা একটি রায় দেখানো হয়েছে। যার বিভিন্ন লাইন কেটে বামপাশে হাতে লিখে তাদের মামলার রায় দেখানো যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এমনকি ১ হাজার টাকায় ওই জমিটি এক টাকা ৫০ পয়সা মুল্যের স্টাম্পে লিখে নিয়েছেন। স্টাম্পের পিছনের পাতায় ক্রেতার অপরিপূর্ণ ঠিকানা। এমনকি জমিটি দলিলের ৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে রাবেয়া খাতুনের স্বামী সহ আরো একজন ইতোমধ্যে মারা গেছে। জালিয়াতি করে আমার জমি রেকার্ড করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়েছে তারা। আমার জমি মিথ্যা ভাবে রেকার্ড করতে জাল কাগজ তৈরী করেছে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছি। একই সাথে এমন অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।