এম এ মান্নান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সাকির হোসেন সাগর (৩১) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাকির হোসেন সাগরকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সাগর উপজেলার সেলবরষ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নূর হোসেনের ছেলে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নামক সংগঠনের জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং উপজেলা যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক।
শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারস্থ সেলবরষ ইউনিয়ন আ,লীগের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ বীর গ্রামের হামিদুল হক মিলন(৪৫) ও তার ছেলে আসামাজ চৌধুরী আদলের (২২) নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাঁর উপর এ হামলার ঘটনাটি ঘটায়।
এঘটনায় ওই রাতেই আহত সাকির হোসেন সাগর বাদি হয়ে হামিদুল হক মিলন ও তার ছেলে আসামাজ চৌধুরী আদল সহ ৬ জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আটটার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাকির হোসেন সাগর সেলবরষ ইউনিয়ন আ,লীগ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় তাঁর এক বন্ধুর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় উপজেলার দক্ষিণ বীর গ্রামের হামিদুল হক মিলনের মাদকাসক্ত ছেলে আসামাজ চৌধুরী আদল সেখানে এসে মাদক সেবন করার জন্য সাগরের নিকট ৫০০ টাকা দাবি করে। তখন সাগর তাকে ধমক দিয়ে এক পর্যায়ে সে তাকে দু’টি থাপ্পর দেন। পরে মাদকাসক্ত আদল সেখান থেকে দৌড়ে গিয়ে তাকে, সাগর মারধর করেছে বলে সে তার বাবার কাছে জানায়। ছেলের এমন কথা শুনা মাত্রই তার বাবা হামিদুল হক মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে- সঙ্গে তিনি তাঁর লোকজনদেরকে সাথে নিয়ে দাঁড়ালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাকির হোসেন সাগরের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান। এসময় ধাড়ালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় সাগর মাটিতে লুটে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় সাগরকে উদ্ধার করে দ্রুত ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।