এম এ মান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে প্রকৃত কৃষককে বাদ দিয়ে হাওরে জমি নেই এমন লোকজন দিয়ে পিআইসি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের বানারশিপুর গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান মজুমদার বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের সাতারিয়া- পাথারিয়া হাওরের ১০০ নাম্বার প্রকল্প হতে ৯৬ নাম্বার প্রকল্পস্থান পর্যন্ত অধিকাংশ জমির মালিক হলেন কৃষক মজিবুর রহমান মজুমদার। অভিযোগে জানা যায়,বাঁধে মাটি ভরাটের জন্য মজিবুর রহমান মজুমদারের পৈত্রিক সম্পত্তি ছাড়া মাটি উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই। প্রতি বছর বাঁধের কাজের জন্য রবিশস্য ফলানোর উপযোগী সমতল উঁচু জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার ফলে এসব জমিতে কোন ফসল ফলানো সম্ভব হয়না। এরকম অবস্থায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছেন।
এসব কারণ দেখিয়ে তিনি চলতি বছরে সাতারিয়া – পাথারিয়া হাওরে দুটি প্রকল্পের কাজ করার দাবি জানিয়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছিল বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
কৃষক মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, আমাদের জমির উপর দিয়ে সাতারিয়া- পাথারিয়া হাওরের ৫ টি প্রকল্পের স্থান। প্রতিটি প্রকল্পের বাঁধের কাজ করার জন্য আমাদের জমি থেকে মাটি নিতে হয়। প্রতি বছর বাঁধের কাজে মাটি কেটে নেয়ার ফলে গর্ত হওয়ায় কোন রকম ফসল ফলানো সম্ভব হয়না। এমন অবস্থায় নিয়ম অনুযায়ী দুটি প্রকল্পের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য, প্রকল্প কমিটি জমা দিয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। বার বার যোগাযোগ করার পরও কোন সাড়া পেলাম না। দু’ দিন আগে দেখতে পেলাম এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে আমাদের জমি থেকে মাটি কেটে আমাদের জমির উপর দিয়ে বাঁধের কাজ করছে নূর উদ্দিন নামের একজন লোক। এ হাওরে তার কোন জমি নেই। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাউবো’র উপ- সহকারি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবিষয়ে প্রকল্প কমিটি যাচাই বাছাই করার দায়িত্ব ইউএনও স্যারের। তাছাড়া নূরউদ্দিনকে পিআইসি করার জন্য বিশেষ সুপারিশ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, হাওরের বাঁধের প্রকল্প কমিটি গঠনে বা কাজে কোন অনিয়ম হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।