শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ককে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে কম্বল বিতরণ বাকসাপ কর্তৃক লেখক পুরস্কার-২০২৫ নির্বাচিত হলেন যারা আজ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, সংবাদ কর্মীসহ আহত ৭ জন রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠে বিআরডিবি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম নওগাঁর মান্দায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম থানায় মামলা নিতে হয়রানের অভিযোগ রায়পুরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে লক্ষ্য করে গুলি বোয়ালখালী ভাণ্ডালজুড়ির পানি চায় সিডিএ মধুখালীতে শীতের পুরান কাপড় বাজারে ক্রেতার ভিড় সিডিসির ও শামসুল হক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ ও সেলাই মেশিন বিতরণ

ধারাবাহিক প্রতিবেদন পর্ব -১—রামপালে লক্ষ টাকা প্রতারণার মূল হোতা মিজানুর রহমান 

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৩ বার পঠিত

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ 

বাগেরহাটের রামপালে নতুন কৌশলে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে চলেছে মিজানুর রহমান মজনু নামের এক প্রতারক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী আবেদ আলী শেখ বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম “রূপসা র‌্যানস লিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জনাব আবুল কাশেম ও জনাব কামরুজ্জামান কোম্পানির পরিচালক। উল্লেখ্য গত ২২/০৭/২০২৩ তারিখ হতে চট্রগ্রামের জনৈক লিটন আমাদের কোম্পানির পরিচালক জনাব আবুল কাশেমকে জানান রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫০০ (পাঁচ শত) কোটি টাকার ক্রাপ এলুমিনিয়ামের তার এবং কন্টেইনার বিক্রি হবে। বিষয়টি জনাব আবুল কাশেম আমাকে এবং কামরুজ্জামানকে জানান। আমরা সরেজমিনে উক্ত মালামাল দেখার জন্য গত ০১/০৮/২০২৩ইং তারিখে ঢাকা হতে দুপুর ১২টার দিকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে যাই। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ ফুট দূরে গাড়ি থামিয়ে জনৈক লিটন সেখানে রোডের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনৈক আল-আমিনের সাথে হ্যান্ডশেক করেন এবং কথাবার্তা বলতে থাকেন। এরপর আল-আমিন কাকে যেন ফোন করেন। তারপর আমাদেরকে জানান যে, ওলিউল্লাহ সাহেব গেটে পাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে-চলেন। জানতে চাইলাম ওলিউল্লাহ কে? তখন আলামিন এবং লিটন জানান যে, তিনি (ওলিউল্লাহ) তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ্যাডমিন অফিসার। তারপর গাড়ি গেটের কাছে পৌঁছালে ওলিউল্লাহ গেটে পাসটি আমাদের গাড়ির ড্রাইভারের নিকট দিয়ে দেন। যথারীতি আমরা গেট পাস দেখিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ি। তখন হালকা বৃষ্টি থাকায় আলামিন এবং ওলিউল্লাহ গাড়িতে বসেই আমাদেরকে বিভিন্ন স্থানে স্তÍপ আকারে রাখা ক্রাব এবং এ্যালুমিনিয়ামের তার ও কন্টেইনার দেখান। মালামাল দেখা শেষ করে আমরা ভেতর থেকে বেড়িয়ে আসি। তখন ওলিউল্লাহ এবং আলামিন আমাদেরকে বলেন, এইসব মালামাল বিক্রির দায়িত্ব জনৈক মিজান সাহেবের। প্রতারকরা বলেন যে, আপনারা মিজান সাহেবের সাথে দামদর ঠিক করেন এবং যাবতীয় টাকা-পয়সা তাকে পরিশোধ করবেন। আমরা এখান থেকে মালামাল ডেলিভারি দেবো।

অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ আরো বলেন, মালামালের দামদর ঠিক করার জন্য সংঘবদ্ধ সক্রিয় সদস্য জনৈক লিটন এবং আলামিন আমাদেরকে নিয়ে মিজানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। মিজানের বাড়িতে বসে ক্রাবের দাম ৫২০০০/ (বায়ান্ন হাজার) টাকা টন, এ্যালুমিনিয়াম ৭৫০/(সাত শত পঞাশ টাকা প্রতি কেজি ও প্রতি কন্টেইনার ২,২৫০০০/ (দুই লাখ পঁচিশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর জন্য নগদ ১০০০০/ (দশ হাজার) টাকা বায়না করা হয়। তখন মিজান বলেন, মিয়া ভাই মাল গোছানোর জন্য লেবার লাগিয়ে দেবো? আমি বলি অবশ্যই। মিজান লেবারদের জন্য কিছু টাকা পাঠানোর কথা বলেন। আমি বলছি যে, কোনো অসুবিধা নেই, টাকা যা লাগে পাঠিয়ে দেবো। বিগত (০২/০৮/২০২৩ইং) তারিখে মিজানুর রহমানের সোনালী ব্যাংকের ২৯০৬৬০১০১১১০৯ নং হিসাবে ৯০০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা প্রেরণ করি। এছাড়া ০৪/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-৫০০০০/- (পঞাশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি। ০৫/০৮/২০২৩ তারিখে লিটনের মাধ্যমে বিকাশ মারফত-১০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রেরণ করি। ০৬/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ১০,০০০০০/-(দশ লাখ) টাকা প্রেরণ করি। ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম জনতা ব্যাংকের হিসাব নং ০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ ৩২,০০০০০/- (বত্রিশ লাখ টাকা এবং ০৭/০৮/২০২৩ তারিখে শেখ ফারদিন ডেয়ারী ফার্ম, জনতা ব্যাংকের হিসাব নং-০১০০২৪১৭১৪৭৭৭-এ-৮,০০০০০/- (আট লাখ) টাকা প্রেরণ করি। মোট ৫২,৫০০০০/-(বায়ান্ন লাখ পঞাশ হাজার) টাকা প্রেরণ করি।

উক্ত অভিযোগকারী উল্লেখ্য করে বলেন, জনৈক লিটন, যিনি এই মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন, তিনি এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, আমরা তাকে বিশ্বাস করার সুবাদে তার দেওয়া তথ্যে আমরা বিশ্বাস করে মিজানের হিসাবে উক্ত ৫২ লাখ টাকা প্রেরণ করি।

এ বিষয়ে আবেদ আলি জানতে চাইলে লিটন জানান যে, মালামাল গোছানো হচ্ছে। গত ০৭/০৮/২০২৩ইং তারিখে লিটন জানান যে, ১০ (দশ) ট্রাক মাল লোড হয়েছে দ্রুত মিজান সাহেবের হিসাবে আরো টাকা পাঠান। ওই দিনই তার তথ্যের ভিত্তিতে ২টি আর টি জি এস-এর মাধ্যমে (৩২,০০০০০+৮,০০০০০) চল্লিশ লাক্ষ টাকা প্রেরণ করি।০৮/০৮/২০২৩ তারিখে ক্রাবের ট্রাক ঢাকা না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজান আমাকে জানান যে, মিয়া ভাই ট্রাক আজকে (০৯/০৮/২০২৩) তারিখ মাল যাবে। তারপর ১০/০৮/২০২৩ তারিখেও কোন ট্রাক ঢাকাতে না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে মিজানসহ প্রতারকরা পূর্বের একটি পার্টির কথা বলে উল্টাপাল্টা কথা বলে তালবাহানা শুরু করে।

অতঃপর অভিযোগকারী আবেদ আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমি রামপাল থানায় ২১/০৯/২০২৩ইং তারিখে ১নং আসামী মিজানুর রহমান (৪৫) পিতা মোবারফ শেখ, সাং গ্রাম-শ্রীরম্বা, থানা-রামপাল, জেলা বাগেরহাট, ২। জনৈক ওলিউল্লাহ, এ্যাডমিন অফিসার, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ৩। আলামিন, সাং দেওয়াপাড়া, ফকিরহাট, বাগেরহাট এবং ৪। চট্রগ্রামের জনৈক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করার জন্য লিখিত একটি এজাহার দায়ের করছি আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই থানায় এজাহার করেছি। এই উল্লেখিত ৪জন আসামী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। উক্ত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে, এ বিষয়েও তদন্ত চলমান।

এ বিষয়ে রামপাল থানা পুলিশ ও র‌্যাব জানায়, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে, অপরাধী যেইহোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।