মোঃ রায়হান ,নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দায় বাড়ী বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ইদ্রিস আলী নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বসতবাড়ি বিক্রির নামে তিনি ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার খবরে এলাকা জুড়ে তোলপাড়। অভিযুক্ত শিক্ষিক উপজেলার পরানপুর ইউপি’র দক্ষিণ পরানপুর গ্রামের মৃত ছাদেক আলি ওরফে (সাদু) সরদারের ছেলে । অপর দিকে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম একই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার নিজ ভোগদখলীয় বসতভিটার ৫ শতক জমি বিক্রির নামে বায়না সূত্রে ৫ লাখ ২০ হাজার এবং মৌখিক ভাবে ১৮ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু উক্ত টাকা গ্রহণের পর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। জমি রেজিষ্ট্রি না দিয়ে শুরু করেন টালবাহানা। গত ১৭ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে টাকা গ্রহণের পর থেকে তিনি বাড়ীতে নেই। অসহায় হয়ে পড়েছেন জমির ক্রেতা সাইফুল ইসলাম।অসহায় ক্রেতা সাইফুল ইসলাম তার সহায় সম্বল বিক্রি করে মাথা গোঁজার জন্য ৫ শতক জমি ক্রয় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হিতে বিপরীত।প্রতারক শিক্ষক তার সাথে এমন প্রতারণা করবে সেটা কখনও বুঝতে পারেননি তিনি।
টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন জায়গায় দ্বারস্ত হয়েও তার কোন কাজ হয়নি। টাকা ফেরত পেতে অসহায় সাইফুলের দৌড়ঝাঁপের শেষ নেই।দেড় বছর পূর্বে প্রতারক শিক্ষক মৌখিক ভাবে বসত-ভিটা বুঝিয়ে দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। এরপর বিপাকে পড়েন ক্রেতা সাইফুল ইসলাম। দিনের পর দিন ঘুরতে থাকেন কিন্তু জমি বুঝে পায় না। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও তিনি জমি রেজিষ্ট্রির নামে তালবাহানা ও কাল ক্ষেপণ করে চলেছেন। শিক্ষকের প্রতারণার বেড়াজালে পাগল প্রায় ক্রেতা সাইফুল। এঘটনায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকালে টাকা অথবা জমি ফেরত পেতে জমির ক্রেতা সাইফুল ইসলাম পরিবার নিয়ে ওই প্রতারক শিক্ষকের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান জানান, বায়নাকৃত জমির টাকা ফেরত না পেয়ে ক্রেতা ওই প্রতারক শিক্ষকের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। একাধিক বার সালিশ বৈঠক করেও কোন কাজ হয়নি। শিক্ষকের আচরণ সন্তোষজনক নয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইদ্রিস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাড়ি বিক্রি নামের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, টাকা পাবে সময় হলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।