মোঃ রায়হান আলী,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আফিমা সুলতানা মিতুর বিরুদ্ধে প্রতারণা মুলক বিভিন্ন শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে জানিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এ সংবাদ সম্মেলন করেন। ভুক্তভোগী নারী উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির ছোট বেলালদহ গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী নারীসহ তার পরিবার লোকজন সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে বলেন, গত ২ জুলাই থেকে ৫ জুলাইয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার মেয়েকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার মেয়ের ১০/১২ টি বিবাহের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বিবাহের নামে কোন অর্থ আদায় করে বাড়ি গাড়ি করে নাই, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের তার ভাতিজাকে ধর্ষন মামলা থেকে বাঁচাতে তিনি সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার মেয়েকে প্রতারক সাজানোর চেষ্টা করেন। প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ দিয়ে আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে হেনোস্তা করছেন। গত ৩০শে জুন আফিমা সুলতানা মিতু ফজলে রাব্বাীর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বিয়ে না করাই ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন মিতু। এই মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নেয়। সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমার মেয়েকে প্রতারক সাজিয়ে ফায়দা লুটছেন চেয়ারম্যান পরিবার। আমার মেয়েকে বহু বিবাহের জনক সাজিয়েছেন। বহু বিবাহের নামে প্রতারণা করে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করার কথা উল্লেখ করেছেন যা আদৌ সত্য নয়। প্রকৃত পক্ষে আমার মেয়ের দুর্ভাগ্যবশত দুই- তিনটি বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর সম্পর্ক বিছিন্ন হলেও তাদের নিকট থেকে কোন মোহরানা আদায় করা বা নেওয়া হয়নি। অথচ বিবাহ বানিজ্যের নামে অর্থ আদায়সহ প্রতারক নারী উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে নিয়েছেন। যারা মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন তাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আফিমার সুলতানা মিতু, তার বাবা আকবর আলী, মা মালেকা বেগম ও মামা আব্দুস সালাম। এ ব্যাপারে ৭নং প্রসাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মন্ডল জানান, বহুবিবাহ নামে অর্থ বানিজ্য ও টাকা আদায় করাসহ সাধারণ মানুষজনকে হয়রানী করায় তার কাজ। মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় হেরে যাওয়ার ভয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে তারা।