মোঃ রায়হান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় লিটন সরদার নামে এক ভ্যান চালক কে চেয়ারের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার( ৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করেন। আহত লিটন সরদার উপজেলার ভালাইন উত্তরপাড়া গ্রামে মৃত ফহির উদ্দিনের ছেলে বলে জানা যায়। অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন গ্রাম পুলিশ রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মাবুদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, আমজাদ হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন। আহত লিটন বলেন ৪-৫ মাস পূর্বে আমার স্ত্রীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করে দেয়ার নামে ২হাজার টাকা নেয় গ্রাম পুলিশ রফিকুল ইসলাম, কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্ড করে দেননি। এ নিয়ে শনিবার দুপুর ২ টার দিকে বৈদ্যপুর বাজারে গ্রাম পুলিশ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও মাবুদ মেম্বারের নির্দেশে বাজার থেকে তুলে নিয়ে পরিষদের চেয়ারের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। নির্যাতনের মাত্রা এতই বেশি ছিল যে সে সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ছিলাম। মৌয়ায় গ্রামের আতাবার মন্ডলের ছেলে আফজাল হোসেন জানান, চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আমার মেয়ের মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে আমার কাছেও তিন হাজার টাকা নিয়েছেন। তবে এসব ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেন ইউপি সদস্য মাবুদ আলী। তিনি আরো বলেন গ্রাম পুলিশকে মারধর করার কারণে লিটনকে স্থানের গণপিটুনি দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশকে মেরে রক্তাক্ত করার কারণে তাকে পরিষদে ধরে আনা হয়েছিল। তবে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দা নির্যাতন করা হয়নি, চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে। এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোজ্জামেল হক কাজী এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।