স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে জরুরী সেবা ৯৯৯-এর কলের মাধ্যমে উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের উত্তর মুশুল্লীর ভারুয়া বিলের মাঝখানের ঝুপঝাড় থেকে উদ্বার হলো বেগম খাতুন নামে নব্বই বছর বয়সী নারী। বর্তমানে ওই নারী নান্দাইল উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। জানাগেছে, বেগম খাতুন(৯০) জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষ্মীদিয়া ইউনিয়নের পাগলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত শনিবার (২০মে) দুপুরে ফারুক মিয়া নামে স্থানীয় এক যুবক ওই বিলে হাঁসের দল খোঁজতে গিয়ে বিলের মাঝখানে ঝুপঝাড়ে ওই বৃদ্ধাকে দেখতে পান। পরে স্থানীয় আরেক যুবকের সহায়তায় তারা ৯৯৯ এ কল দিলে নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক মো. রুবেল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্য নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তখন ওই নারীর কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। ফলে পরদিন রোববার (২১ মে) সকালে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ময়মনসিংহ বিভাগের সিআইডি ক্রাইম সিনের ফরেনসিক বিভাগের একটি ইউনিট ওই বৃদ্ধার আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে। এতে জানাগেছে, ওই বৃদ্ধা জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষ্মীদিয়া ইউনিয়নের পাগলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী মো. মনোরুদ্দিন এখনো জীবিত। বয়স শতকের কাছাকাছি। তাদের চার ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে দুদু মিয়া জানিয়েছেন, তার মা গুরুতর অসুস্থ এবং মানসিক প্রতিবন্ধী। আরো কয়েকবার তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এবার দুই মাস থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বর্তমানে ওই নারীর স্বজনরা খবর পেয়ে নান্দাইলের উদ্যেশ্যে রওয়ানা হয়েছে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে। জরুরী সেবায় কল দেওয়া যুবক ফারুক মিয়া জানান, এরকম একজন বৃদ্ধকে এ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমার যা করণীয় ছিল তাই করেছি। ৯৯৯ এ কলে দেওয়ার ফলেই ওই নারীকে উদ্ধার করা এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়েছে। এখন হয়তো উনার নিজ আপনজনের কাছে ফিরে যেতে পারবেন। নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রুবেল মিয়া জানান, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি যাতে করে, ওই নারীকে সনাক্তকরন সহ তাঁর আপনজনের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারি।