কাজী বিপ্লব হাসান,সদর উপজেলা প্রতিনিধি:
পচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করাই হচ্ছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিচয়। তিনি বাংলাদেশ সেনা-বাহিনী, নৌ-বাহিনী ও বিমান-বাহিনীর ১৮৬ জন কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিলো। জয়বাংলা শ্লোগানকে হত্যা করে। তাহলে কি বলেতে পারিনা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছিলো? কথাগুলো মির্জা এমপি আজম বলছিলেন ১০ জুন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যতদিন ক্ষমতায় ছিলো ততদিন মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি অফিস, আদালতে নিজেদের পরিচয় দিতে পারত না। মির্জা আজম এমপি মুন্সীগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন তাহলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে এমন কোনো শক্তি নেই। এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। যিনি জনপ্রিয় নির্বাচনে তাকেই শেখ হাসিনা তাকেই দলের মনোনয়ন দিবেন। আপনাদের কাছে যিনি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য হবে তাকে মনোনয়ন দিবেন শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে। এরআগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আ’লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ও কেন্দ্রীয় আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব। সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামসুর কবীর মাষ্টারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন, গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, মিরকাদিম পৌর আ’লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।
১০ জুন ২০২৩ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রী বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৩ সালের পর সদর উপজেলাতে আর কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই দীর্ঘ ১০ বছর পর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হওয়ায় সকলের মাঝেই একটি নতুন আগ্রহ ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। জেলা স্টেডিয়ামে সকাল ১০ ঘটিকায় উক্ত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। উক্ত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মির্জা আজম। উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। উক্ত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ শেখ লুৎফর রহমান। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এড. সোহানা তাহমিনা ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লব। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্ত্বে সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী এড. সামসুল কবীর। এছাড়া উক্ত সম্মেলনে মুন্সীগঞ্জের আওয়ামী লীগের সিনিয়র ও জুনিয়র নেতৃ বৃন্দ, সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানগন। এবং তৃনমূল পর্যায়ের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সকলের কোলাহলে জেলা স্টেডিয়াম ভরপুর হয়ে ওঠে। সকলে একত্রিত হয়ে আনন্দ উচ্ছাসিত হয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করে সম্মেলন সাফল্যমন্ডিত করে তোলেন। সম্মেলন শেষে সভাপতি ও সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আফসারউদ্দিন ভুইয়া ও এড. শামছুল কবির মাস্টার তাই দীর্ঘদিন পরে সম্মেলন হলেও আগের কমিটি বহাল থাকায় তেমন একটি চমক ও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে না নেতাদের মাঝে।