আব্দুল্লাহ আল মামুন,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিঃ

ঋণ থেকে রেহাই পেতে মানুষ কতই না কি করে তবে এবার হয়েছে এক ভিন্ন এবং অভিনব ঘটনা,এমন এক অভিনব প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে আলোচনায় এসেছে ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলা। নিজের মৃত্যুর খবর ফেসবুকে প্রচার করলেন এবং খবরটি বিশ্বাসযোগ্য করতে নিজের মৃতদেহের বেশ কিছু ছবিও তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

জানা যায় যে,উক্ত মহিলাটি অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং ধারের টাকা শোধ করার সময় এসে পড়ে,তাই পাওনাদারের হাত থেকে বাঁচতে নিজের মৃত্যুর ভুয়ো খবর প্রচার করন বলে অভিযোগ উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলার বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়, নিজের মৃত্যুর খবর যাতে বিশ্বাসযোগ্য হয়, তার জন্য মৃত বেশ ধারণ করে বেশ কিছু ছবিও তোলেন এবং সেই ছবিগুলি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে।পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই আত্মগোপন করেন তিনি।

ইন্দোনেশিয়ার এক সংবাদ সংস্থার খবরের বরাত জানা যায় যে, এল নামের ওই মহিলার থেকে বেশ কিছু টাকা পেতেন মায়া গুনাওয়ান নামের অপর এক মহিলা। নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল এলের। তিনি মায়াকে অনুরোধ করেন ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়ার। কিন্তু ডিসেম্বরের ১২ তারিখ তাগাদা দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন মায়া। তখনই ফেসবুকে এলের মেয়ের করা একটি পোস্ট দেখে চমকে ওঠেন তিনি। ওই পোস্টে জানানো হয়, একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এল। উত্তর সুমাত্রার মেডান নামের একটি সেতুতে পথ দুর্ঘটনাটি হয় বলেও দাবি করা হয় ওই পোস্টে। সঙ্গে নাকে তুলো দেওয়া অবস্থায় এলের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কিছু ছবিও দেওয়া হয়। ওই পোস্টে এও দাবি করা হয়, ইতিমধ্যেই সমাধিস্থ করা হয়েছে এলকে।

পোস্টের কিছু দিন পরে জানা যায়, হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল সেগুলি একটি টিভি ধারাবাহিকের ছবি। এর পর এলের মেয়ে দাবি করেন, তার মা আদৌ মারা যাননি।পুরো ঘটনাটি ছিল নাটক। তিনি আরও বলেন,বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ওই ছবি তোলেন তার মা এবং তার পর নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পোস্ট করেন ছবিগুলো।

গোটা ঘটনায় আশ্চর্য হয়ে পড়েছেন মায়া নিজেই। টাকা ফেরত চেয়ে এলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও এখনও এলের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না বলে তিনি জানান ।