আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
অনিরাপদ খাবার খাওয়ায় নানা ধরনের খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা যান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর চার লাখ বিশ হাজার মানুষ মারা যায়। তাই, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও রোগ প্রতিরোধে প্রত্যেকের সচেতন হতে হবে। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে মৌলিক দক্ষতা ও জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।’
গাজীপুর জেলা, পাচুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রবিবার নগরের উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে গাজীপুর জেলার ৫ উপজেলার ১০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের স্ট্রেনথেনিং দ্য ইনসপেকশন, রেগুলেটরি এন্ড কোঅরডিনেটিং (STIRC) প্রকল্পের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা (TOT) প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
STIRC প্রকল্পের কর্মকর্তারা তাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত বিষয় ছিল শিশুদের জন্য নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা, মৌলিক স্বাস্থবিধি, ছবির কার্ডসহ কুইজ এবং হাত ধোয়ার পদ্ধতি। শিক্ষকরা প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান স্কুলের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রদান করবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল কাইউম সরকার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন Dr. Shiro Yamashoji,Chairperson, Association to Protect Asian Children from Foodborne Diseases
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, জাইকা ফুড সেফটি প্রকল্পের (STIRC) এক্সিকিউটিভ সিনিয়র এডভাইজর ড. জহুরুল হক ও গাজীপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জনাব ফারজানা ইয়াসমিন সোনিয়া।
প্রশিক্ষণে আরও বলা হয়, ‘নিরাপদ খাদ্য ও খাবারের পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। পরিচ্ছন্নতা, কাঁচা ও রান্না খাবার পৃথক রাখা, সঠিক তাপমাত্রায় রান্না, সংরক্ষণ এবং নিরাপদ খাদ্য উপকরণ ও পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার বিষয়ক মৌলিক দক্ষতা ও জ্ঞান সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।’
প্রশিক্ষণ পর্ব পরিচালনা করেন, প্রকল্পের সিনিয়র ফুড সেফটি কনসাল্টেন্ট জনাব মাসুদ আলম, ফুড সেফটি কনসাল্টেন্ট জনাব শাহ্ আরাফাত রহমান, ফুড সেফটি কনসাল্টেন্ট জনাব ইউনুস আলী এবং গাজীপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জনাব ফারজানা ইয়াসমিন সোনিয়া। । পরে, শিক্ষকদের হাতে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে, শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি ও খাদ্য নিরাপদ রাখার কৌশল সহায়ক ৪ ধরনের মডিউল এবং ৮ ধরনের প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম ছিল।