বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে চাই,দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই:এ্যাডঃ এ,বি,এম,সেলিম সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মানববন্ধন  মধ্যনগরে চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা বোয়ালখালীতে গরু চুরি প্রতিরোধে খামারিদের সভা  ব্যাটারিচালিত রিকশা নিবন্ধনে বছরে রাজস্ব আসবে ৫ হাজার কোটি টাকা-যাত্রী কল্যান সমিতি  বাঘায় আনিসুর রহমানের খুনি গেপ্তার তাহিরপুরে ক্রিকেট খেলা উদ্বোধন করলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জুনাব আলী সাতক্ষীরায় শিশুসহ দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু  রংপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল 

পুষ্পকাননের সফলতার ৭ বছর

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৬৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধ ঃ আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী।

মোহাম্মদ আলী।
দেখতে দেখতে সফলতার ৭ বছর পূর্ণ করল ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরাম পুষ্পকানন।

তাদের প্রকাশিত এ্যালবামগুলোর মধ্যে
পুষ্পকানন, আন-নূর, মিনতি, ভালবাসার পরশ, মুক্তির নববার্তা, ফরিয়াদ,মিছে ভাবনা, ঈমান বাঁচাও ব্যাপক জনপ্রিয়। সারা বছর পষ্পকানন’র শিল্পীরা দেশের বিভিন্ন ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাহফিলে নাশীদগুলো পরিবেশন করে থাকেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠানটি ৭ বছর পূর্ণ করে ৮ বছরে পদার্পণ করেছে।

কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সমাজ-ব্যক্তির ভুলত্রুটি সংশোধনের উদ্দেশ্যে এবং সত্যকে প্রকাশ ও মিথ্যার অবসান ঘটাতে পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরাম’র জন্ম। গানে গানে সুরে সুরে
পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরাম সত্যকে জাগাবে ভুবন রাঙাবে,দূর করবে সমাজ থেকে অপসংস্কৃতির নিকষকালো আঁধার এমন প্রত্যাশা নিয়ে
২০১৬ সালের ১২ফেব্রুয়ারি থেকে পুষ্পকাননের পথচলা শুরু। এবং সুস্থ সংস্কৃতিক অঙ্গনে সূচনা। শুধুমাত্র ইসলামী সংস্কৃতি তথা সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে পুষ্পকানন প্রতিষ্ঠিত।
অতি অল্প সময়ে শ্রোতা মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে সংগঠনটি। এই অল্প সময়ে অসংখ্য জনপ্রিয় অডিও এবং ভিডিও ইসলামী সংগীত উপহার দিয়েছে পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরাম। ২০১৭ সালে প্রাক্ষিক সবার খবর পত্রিকার পক্ষ থেকে সেরা সংগঠন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে। তাদের জনপ্রিয় নাশিদ গুলোর মধ্যে মিছে জীবন, এন্তেজার, মাগো তোমার একটি ছেলে মাদরাসাতে দিও, হেফাজত করো তাবলীগ, কোরানের এক হরফে দশ নেকি, অন্ধকার কবর, মালিক-শ্রমিক,
আমিনা মায়ের কোলে, মা আমার মা, প্রিয় মা, মাদিনা,
রাব্বি জিদনি ইলমা, জলদি সময়, চাঁদ মামা,
কষ্টে হৃদয় ভেঙে যায়,
নিঠুর বিদায় , শুন্য হৃদয়, ইয়া রব অন্যতম।

পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামে রয়েছে একঝাঁক সুর সৈনিক এবং একদল তরুণ মননশীল গীতিকার ও সুরকার।

পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কেন্দ্রীয় শিল্পীবৃন্দরা হলেন, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, আমিন মুসাব্বীর, আব্দুল্লাহ্ আল গালিব, আনোয়ার হোসাইন, আবু নাঈম, মোশারফ হোসেন, মুসা বিন আবুল হাসান, আশিকুল্লাহ সিদ্দিকী, আমজাদ হোসাইন, সালিম আহমেদ,যিকরুল্লাহ মজুমদার, রেজাউল করিম, নুর-মুহাম্মদ ইলিয়াস, আবুবক্কর সিদ্দিক, নুর-মুহাম্মদ শাহরিয়ার, রাফিদ হাসান, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন, মোঃ মেরাজ, সোহাগ আহমেদ, আশিক এলাহি, হুমায়ুন কবির মিয়াজি, মোঃ আরিফ আহমেদ রাকিব।

কিশোর শিল্পীদের মধ্যে আছে গোলাম কিবরিয়া, হাবিবুল্লাহ হুমাইদি, খালিদ বিন ওয়ালিদ, মাহফুজুর রহমান মেরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাবিবুল্লাহ সাইম, নুরুন্নবী নিরব, আনাস আনসারী, তায়েফ আরিয়ান, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মাসুম বিল্লাহ ইয়াসিন, সানাউল্লাহ আরাফি,আবু রায়হান, আবু হানিফ, মোঃ রিয়াদ, মোঃ ওমর ফারুক, ইয়াসিন হাসান, মোঞ্জু আহমেদ, মোঃ ইসহাক আহমেদ, মুন্নাফ ইসলাম
শিশু শিল্পীদের মধ্যে আব্দুর রহিম, সোহরাব হাসান শিহাব, আতিকা সিদ্দিকা, রুকিয়া জান্নাত লায়লার নাম উল্লেখযোগ্য।

এ সংগঠনের গীতিকার হিসেবে আছেন, আসাদ বিন নূরমুহাম্মদ, ইমরান হোসাইন, জিকরুল্লা মজুমদার, সোহেল রানা আশিক, আবু তাহের মুহাম্মদ, শরীফ আহমেদ, আব্দুল্লাহ্ আল খায়ের, জোবায়ের হোসেন, আবু মুসা,
আব্দুস সালাম।

সুরকার হিসেবে আছেন আসাদ বিন নূরমুহাম্মদ, ইমরান হোসাইন, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, জিকরুল্লাহ মজুমদার, হাবিবুল্লাহ হুমাইদি, খালিদ বিন ওয়ালিদ, আবু মুসা।

অত্যন্ত সুস্থ সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব ক্বারী মোঃ আবু রাজিন খান ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন “পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরাম।
তার পরম ভালবাসা এবং তার দিকনির্দেশনায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে “পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরাম।আসাদ বিন নূর মুহাম্মদ যিনি পুষ্পকাননের নামকরণ করেছেন এবং আছেন পুষ্পকাননের প্রধান উপদেষ্টা ও চলার সাথী হিসেবে। এছাড়া তিনি সু-পরামর্শ এবং অনেক মুল্যবান লেখাগান ও সুর দিয়ে “পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতি ফোরামকে” সংস্কৃতিক অঙ্গনে অধিক পরিচিতি লাভ করিয়েছেন, পুষ্পকাননের থিমসংটিও তার লেখা। পুষ্পকাননের উপদেষ্টা হিসেবে আরো রয়েছেন, বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হাঃ মাওঃ ক্বারী রফিকুল ইসলাম কাসেমী সাহেব দা:বা: তিনি সংগঠনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

পুষ্পকাননের উপদেষ্টা হিসাবে আরো আছেনঃ-
# আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী,
সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটি।
# ক্বারী হা: মাও: আব্দুর রহমান জামালী সাহেব, প্রধান শিক্ষক, লাউয়াই ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসা, সিলেট, মুয়াল্লিম প্রশিক্ষক ও মহাসচিব,
হেরার আলো ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন টাস্ট, সিলেট।
# মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ জামালীসাহেব,
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
ইমাম মুয়াজ্জিন মুসুল্লী কল্যাণ ফাউন্ডেশন।

পুষ্পকাননের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন, হাঃ মাওঃ মুফতি আব্দুল ওয়াহাব সাহেব দা:বা: মুহাদ্দিস জামিয়া আবু হুরায়রা বা: নয়ানগর, শ্যামপুর এবং ইমাম ও খতিব, শ্যামপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মেলান্দহ, জামালপুর। তিনি সংগঠনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় আছেন, ইমরান হোসাইন, সাব্বির বিন বেলাল।

পুষ্পকাননের সুবাস ছড়িয়ে দিতে আরো কাজ করেন
ভিডিও ডাইরেক্টর গোলাম কিবরিয়া ও সালিম আহমেদ।
অডিও কম্পুজার হাবিবুল্লাহ হুমাইদি ও খালিদ বিন ওয়ালিদ ।

পুষ্প টিউন নামে তাদের রয়েছে নিজস্ব স্টুডিও, যেখানে তাদের নিজস্ব অডিও, ভিডিও নাশিদ ছাড়াও বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর অডিও, ভিডিও নাশিদ, ওয়াজ মাহফিল, মাদ্রাসা স্কুল-কলেজের ভর্তি বিজ্ঞাপন,নির্বাচনী প্রচারণা ভয়েস রেকর্ড করে থাকেন।

পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৪ নং ওয়ার্ড, শিমুলতলী বাজার,গাজীপুর সিটি গাজীপুর।
জামালপুর, গোপালগঞ্জেও রয়েছে তাদের শাখা অফিস।

পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের প্রতিটি গজল পাওয়া যায় তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে।
চ্যানেলের নামঃ Pushpo Tune

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

One thought on "পুষ্পকাননের সফলতার ৭ বছর"

  1. Abdus Salam says:

    পুষ্পকানন ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের জন্য রইল আমার শ্রদ্বা ও ভালবাসা, এই সংগঠনের গীতিকার হতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন

Comments are closed.

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।