পদ্মা সেতুর সড়ক পথে যানচলাচল শুরুর দশ মাসের মাসের মাথায় এবার প্রস্তুত রেল পথ। এরমধ্যেই ৬ দশমিক ৬৮কিলোমিটারের পদ্মা সেতুর রেলপথের কাজ সম্পুর্ন করেছে দেশি বিদেশি প্রকৌশলীরা।
গত বুধবার রেলপথের সর্বশেষ ৭ মিটার অংশের ঢালাই দেওয়ার মাধ্যমে কাজ সমাপ্ত হয়। তবে ঢালাইকৃত অংশ শক্ত হয়ে ট্রেন চলার জন্য উপযোগী হতে ৪৮ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন ছিল। শুক্রবার বিকেলে নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টা শেষ হয়। বর্তমানে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত ৬.৬৮ কিলোমিটার পুরো পাথরবিহীন রেলপথ। এখন শুধু ট্রেন চলার অপেক্ষায় পদ্মা সেতু।
এদিকে সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ায় আগামীকাল ৪ এপ্রিল পুরো সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রকৌশলীরা।
এদিন ফরিদপুরের ভাঙ্গা পদ্মা স্টেশন থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৫ কিলোমমিটার অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনে পাড়ি দেবেন পুরো পদ্মা সেতু।
রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২কিলোমিটার রেলসংযোগ প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ।
গত বছরের ২০ আগস্ট সেতুতে রেললাইন স্থাপনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তবে বিভিন্ন জটিলতায় পুরোদমে কাজ শুরু হয় নভেম্বরে।
এদিকে প্রকৌশলী সূত্র বলছে, ঢাকা-ভাঙ্গা এই দুই অংশের কাজ চলতি বছরই শেষ হবে। প্রকল্পের মোট ১৭২ কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেলসেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই পাশের স্টেশন নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে।
পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। নতুন রেলপথে যাতায়াতে রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।