রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
“প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ” জানিয়েছেন মজিবুর রহমান দেওয়ান কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  বকশীগঞ্জের মুনীরা বেগম জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত ভাঙ্গায় এখনও ছাত্রীদের ক্লাস নেন সেই “লম্পট” আজাদ! (পর্ব-১) মুন্সীগঞ্জে মামলার পলাতক আসামি গ্ৰেফতার। বকশীগঞ্জে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন পদত্যাগী সভাপতি এখন মাঠে সরোব। তৃণমূল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের ক্ষোপ । মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ীতে হত্যাচেষ্টার মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি । মুন্সীগঞ্জে জেলার শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক নির্বাচিত হলেন জিনিয়া ফেরদৌস । বকশীগঞ্জে এক দফা দাবিতে নার্স ও মিডওয়াইফারিদের স্মারকলিপি প্রদান

প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে লোপাট সিরাজদিখানের যুবক!

ষ্টাফ রি‌পোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৬২৪ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,

প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূর সাথে একাধিকবার রাত্রি যাপন, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাসুম (২৮) নামে এক প্রবাসী যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই লম্পট যুবক মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রামানন্দ গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মোঃ নাছির মোল্লার ছেলে ও ভুক্তভোগী গৃহবধ ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ অভিযুক্ত যুবকের সুষ্ঠ বিচার নিশ্চিত করাসহ যুবক কর্তৃক আত্মসাতকৃত অর্থ ও স্বর্ণালংকার আদায়ে আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে গত সোমবার স্থানীয় সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামানন্দ গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মোঃ নাছির মোল্লার ছেলে অভিযুক্ত মাসুমের সাথে গৃহবধূ আয়েশা আক্তারের (ছদ্মনাম) ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুক মেসেঞ্জারে প্রথম পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কের সুবাদে আয়েশা তার স্বামী সংসার এমনকি ব্যক্তিগত নানা বিষয় মাসুমের সাথে শেয়ার করে। আয়েশার ব্যক্তিগত ও সাংসারিক বিষয় সমূহকে পুঁজি করে মাসুম তার সাথে ঘনিষ্ঠ সস্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার এক পর্যায়ে সন্তানসহ আয়েশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে আয়েশা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হলে সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। সে সময় মাসুম কুয়েতে অবস্থান করছিলো। এরপর একই সালের ৪ নভেম্বর মাসুম দেশে আসে এবং ২৫ নভেম্বর আয়েশা আক্তারের ঢাকার বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক দেখা করে। এর কিছুদিন পর মাসুম তাকে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে আয়েশা তার প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানালে বর্তমান স্বামীকে ছেড়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। আয়েশা আক্তারের প্রবাসী স্বামীর সাথে তার দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় মাসুম তাকে বিয়ে করে সুখে রাখার প্রস্তাব দিলে এক পর্যায়ে সে রাজি হয়। পরে আয়েশাকে দিয়ে তার আগের স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর গত ৪ ডিসেম্বর রাতে আশরাফুল নামে একজন মৌলভি (কাজী) সাথে নিয়ে গিয়ে আয়েশাকে সাজানো বিয়ে করে। বিয়ের পর মাসুম তার সাথে বৈধ স্ত্রী হিসেবে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়। সে সময় মাসুমের গ্রামের বাড়ী লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ গ্রামে বিল্ডিং তৈরির জন্য কোন প্রকার স্ট্যাম্প ছাড়াই আয়েশার কাছ থেকে ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারী ২ লাখ টাকা নগদ নেয়। পর্যায়ক্রমে মাসুম আয়েশাকে তার বিল্ডিং তৈরি শেষে করে বাড়িতে বউ হিসেবে নিয়ে উঠাবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ীর কাজের জন্য তার কাছ তিন ভরি স্বর্ণ ও আরো ৫০ হাজার টাকা নেয়। নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে ফাহিমা নামে উপজেলার বালুরের এক মেয়েকে বিয়ে করে গোপনে দেশ ত্যাগ করে কুয়েতে চলে যায়।

 

আয়েশা আক্তার অন্য মেয়েকে বিয়ে করে মাসুমের দেশ ত্যাগের বিষয় জানতে পেরে মাসুমকে স্ত্রী হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দিতে বলে। কিন্তু মাসুম তাকে চিনেনা মর্মে সাফ জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে মাসুমের কাছে তার দেওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার ফিরত চাইলে টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার কথা অস্বীকার করে মাসুম। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার প্রথমে লতব্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম সোহরাব হোসেনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে ন্যায্য বিচার পেতে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ ফজলুল হকের দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ ফজলুল হক অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তের পরিবারের বিরুদ্ধে পরিষদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার নোটিশ পাঠান। কিন্তু অভিযুক্ত মাসুম ও তার পরিবারের লোকজন গ্রাম্য আদালতের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে নোটিশ পেয়ে হাজির না হয়ে গ্রাম্য আদালতের অবমাননা করে। ভুুক্তভোগী আয়েশা আক্তার মাসুমের বিরুদ্ধে পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় বিভিন্ন ভাবে অভিযুক্তের বাবা মোঃ নাছির মোল্লা হুমকি প্রদান করে আস়ছিলেন মর্মে ভুক্তভোগী পরিবার সূুত্রে জানা যায়। অভিযুক্ত বখাটে মাসুমের সাথে এ ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে বলেন, আমি নিছি কি করবি করিস। পারলে টাকা উঠিয়ে নিস। অভিযুক্ত মাসুমের পিতা মোঃ নাছির মোল্লা বলেন, আমার পোলায় যে ওই মেয়ের সাথে থাকছে তার ভিডিও দিন তাহলে স্বর্ণ আর টাকা দিয়ে দিবো! এ ব্যপারে লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ ফজলুল হক বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বিবাদী পক্ষকে বারংবার পরিষদের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হয়। কিন্তু তারা কোন তোয়াক্কা না করে পরিষদে হাজির হয়নি।

তারা নোটিশে হাজির না হওয়ায় আইনি জটিলতার কারণে ভুক্তভোগীর আইনি সহযোগীতা করতে পারিনি। তাই তাকে উচ্চ আদালতের দারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। ভুক্তভোগী গৃহবধূ আয়েশা আক্তার বলেন, আমাকে সে ফাঁদে ফেলে আমি ও আমার স্বামীর গচ্ছিত টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে আমাকে নিঃস্ব করেছে। আমাকে দিয়ে আমার স্বামীকে পর্যন্ত তালাক দিতে বাধ্য করেছে।

ও আমাকে সুখে রাখার আশা দিয়ে আমার জীবনটা এলোমেলো করে দিয়ে গেছে। ভেবেছিলাম বিচার বিবেক বলতে দেশে কিছু আছে। এখন দেখছি টাকার কাছে সবাই বিক্রি হয়ে যায়। আত্ন সম্মানের দিকে তাকিয়ে আইনের আশ্রয় নেইনি। আমি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। যে পর্যন্ত যেতে হবে যাবো।

 

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।