শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
জুলাই বিপ্লবের অন্যতম কারিগর জাজাকাল্লাহ সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সম্পাদকের সৌজন্য সাক্ষাৎ  মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে  বনভোজন  অনুষ্ঠিত । ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সহকারীদের মানববন্ধন  মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চরকেওয়ারে‎ শ্রীনগর থানা পরিদর্শনে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন সাইদুর রহমান ফকির । মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দুই নেতাকে জড়িয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা সিরাজদিখানে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা, টাকা-স্বর্ন লুট, শ্লীলতাহানির অভিযোগ সুন্দরগঞ্জে “যতটুকু পারি” সামাজিক সংগঠন এর ঈদ সামগ্রী বিতরণ

ফরিদপুরে স্কুল বন্ধ রাখায় বই না পেয়ে ফিরে গেল ছাত্র-ছাত্রীরা।

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩২৯ বার পঠিত

 

আকাশ সাহাঃ ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত বামনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ রাখায় বই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ভর্তি হতে আসা ও বই নিতে আসা অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ফেরত যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সেশন ফি, ভর্তি ফিসহ ৭’শ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। টাকা না দিলে বই মিলছে না শিক্ষার্থীদের। তবে, এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলটির বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মোল্যা।
সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানাগেছে,
সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিদ্যালয়ের অফিসসহ সকল কক্ষ তালাবন্ধ করে রাখা হয়। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বই নিতে এসে শিক্ষকদের খুঁজে বেড়ান। এক পর্যায়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে না পেয়ে খালী হাতে ফিরে যেতে হয়। সরকারী বন্ধ না থাকলেও স্কুল তালা বন্ধ করে তালার চাবী নিয়ে লাপাত্তা হন সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক এমনটাই দাবী স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির। ফলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাহিদ ও বিদ্যালয়ের সভাপতি কাইয়ূম মোল্যাকে বিদ্যালয়ের মাঠে ও বাহিরে বসে থাকতে হয়।

বই নিতে ও ভর্তি হতে আসা ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল, সাদিয়াসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, বই উৎসবের প্রথম দিন ৫টি বই পেয়েছি। সোমবার স্কুলে এসে দেখি স্কুলের অফিসসহ সকল রুম তালা দেওয়া। ৮ম শ্রেণীর মিম বলেন, আমাকে শুধু বিজ্ঞান বই দিয়েছে। অন্য বই পাইনি।

উপজেলার কদমী গ্রামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাগর মিয়া বলেন, তার ছেলে হামিম মিয়াকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করানোর জন্য স্কুলে গিয়ে শিক্ষকরা না থাকায় ভর্তি না করে বই না নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

ডহরনগর গ্রামের মোরশেদা বেগম বলেন, তার জমজ দুই ছেলে রাজু মিয়া ও রবি মিয়া এ বছর ৮ম শ্রেণী থেকে পাশ করে ৯ম শ্রেণীতে উঠেছে। তাদের দুই ভাইকে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি করতে ও বই নিতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক বলেছেন ভর্তি ও সেশন ফিসহ ৭’শ টাকা লাগবে। টাকা না দিলে ভর্তি হতে পারবে না।

এ ব্যাপারে স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাহিদ বলেন, বই উৎসবের প্রথম দিন রবিবার (১ জানুয়ারি) সকালে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মোল্যা সকালে স্কুলে এসে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বই দিয়ে স্কুল থেকে চলে যান। পরে সভাপতি সকলকে সাথে নিয়ে কিছু বই দিয়েছেন। সোমবার (২ জানুয়ারি) ভোরে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক স্কুলের সকল রুম তালা দিয়ে রেখে চলে যান। যার কারণে আমরা কোন শিক্ষার্থীকে বই দিতে পারছি না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাইয়ূম মোল্যা বলেন, বই উৎসবের প্রথম দিন বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক সকালে স্কুলে এসে কিছু শিক্ষার্থীর নিকট থেকে টাকা নিয়ে বই দিয়েছেন। জানতে পেরে সকল শিক্ষার্থীকে টাকা দিতে নিষেধ করি। পরে প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মোল্যা স্কুল থেকে চলে যান। তিনি আরও জানান, সেশন ফিসহ যাবতীয় ফি পরে নেওয়া হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা মানছেন না। সভাপতি বলেন, এ বছর সেশন ফিসহ কোন কিছুই নির্ধারণ করা হয়নি। তা ছাড়া অক্টোবরের ৩০ তারিখে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মোল্যাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মোল্যা বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি বই দেওয়ার কথা বলে কারো কাছে থেকে টাকা নেইনি। তবে যারা ৫ম শ্রেণি থেকে আমাদের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হচ্ছেন তাদের কাছ থেকে ভর্তি ফি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, অফিসের জরুরি কাজে আমি ঢাকাতে এসেছি। তবে, স্কুলের চাবি আমার কাছে নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাকে অবৈধভাবে বরখাস্ত করেছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ তিনজন সদস্য। কিন্তু, স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির অন্য ৯ সদস্যই আমার পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন। তাহলে, আমাকে কিভাবে বৈধভাবে বরখাস্ত করা হলো! আমি সরকারিভাবে বৈধ।

এব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে একটু অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে। যা ঢাকা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত জানেন। আমরা বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে আমি আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) স্কুলটিতে যাবো।

এব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, এব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। এছাড়া এব্যাপারে কোনো শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।