মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের পলমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবির অবমাননা ও স্লিপ এর বরাদ্দ কৃত ২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা সহ নানান অভিযোগ উঠেছে। এবং বরাদ্দ কৃত টাকার কোন কাজ করেনি এমন চিত্র দেখা গেছে সরজমিনে।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের কক্ষে হাঁস পালন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে,সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঐ গ্রামের জাকির মিয়া স্কুল ভবন কক্ষে শত শত হাঁস পালন করে এবং হাঁস মলমূত্রত্যাগ করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ দূষিত হয়ে কোমল মতি ছাত্র ছাত্রীরা ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আরও জানা গেছে বিশ প্রয়োগে শতাধিক হাঁস মরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাকির মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আউয়াল মিয়াকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
(২০ জুলাই) বৃহস্পতিবার দুপুরে পলমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পরিত্যাক্ত ভবনের একটি কক্ষের মেঝেতে,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবিটি ময়লা আবর্জনার মাঝে এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে । সরজমিনে গিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এভাবেই ফেলে রেখেছে প্রধান শিক্ষক । এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
আরও জানা যায়, ঐ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এক বছর আগে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে নবনির্মিত দুতলা ভবনে পাঠদান শুরু হয়। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সহ আরো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছবি ভাঙ্গা মেঝেতে পরে আছে। এতে করে বাঙ্গালি জাতির পিতাকে অসম্মান করা হয়েছে।
এছাড়া স্লিপ এর বরাদ্দ ২ লাখ টাকার কাজ না করেই আত্মসাৎ করারও অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি। তাঁর ছবি মাটিতে ফেলে রেখে শুধু বঙ্গবন্ধু নয় পুরো জাতিকে অবমাননা করেছে । আমরা এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে পলমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামসুল হক যায়যায়দিন কে বলেন,ভবনটি গত বছর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। গত বছর বন্যার পরে নতুন ভবনে উঠার সময় ছবিগুলো আনতে ভুলে গেছি।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার জানান, এটি অন্ত্যান্ত দুঁখ জনক। এটি বাঙ্গালী জাতির জন্য কলঙ্ক। এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হউক। মানুষ গড়ার কারিগরদের কাছ থেকে এমনটি আশা করা দুর্লভ।
এবিষয়ে মধ্যনগর শিক্ষক সমিতির সভাপতি রজত কান্তি তালুকদার জানান-এরা জাতির পিতাকে অসম্মান করছে। এদের ছাড় দেয়া ঠিক না,দৃষ্টান্ত মুলক,শাস্তি দাবী করছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানবেন্দ্র দাস বলেন পরিত্যক্ত ভবনে পরিত্যক্ত অবস্থা ছবি রেখেছে তারপরও আমি বিষয়টি দেখবো। ভবনে হাঁস পালনের বিষয়টি তিনি এরিয়ে যান এবং স্লিপের কাজ করেছে বলে তিনি জানান।
মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার জানান,বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবি অবমাননা করা গুরুতর অন্যায়। যদি কেউ এমনটি করে থাকে তাহলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।