মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ
‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো’ স্লোগানকে ধারণ করে আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নগরীর ফকির বাড়ি রোড থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার ফকির বাড়ি রোডে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার যাত্রা শুরু হয়েছিল স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে।আজকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যদি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না হয় তাহলে মঙ্গল শোভাযাত্রার বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছাবে না।আজকের যে স্বৈরশাসন,মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ,মানুষের নিপীড়িত জীবন তার বার্তা দিতেই আমরা এই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি।
সুজয় শুভ বলেন, অমঙ্গলে গোটা দেশ ভরে গেছে। জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এই অমঙ্গলের বিরুদ্ধে লড়াই না করে মঙ্গলের আকাঙ্ক্ষা কোনো ভাবেই করার সুযোগ নেই।
আরেক অংশগ্রহণকারী নৃপেন্দ্রনাথ বাড়ৈ বলেন, সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলে।বাঙালি সংস্কৃতির কথা বলে।অথচ একটি মহলের মাধ্যমে সরকার মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। এসবের প্রতিবাদেই আমরা এই শোভাযাত্রা করছি।
শোভাযাত্রায় বরিশালে নিপীড়ন বিরোধী বার্তা দিয়ে ব্যতিক্রমী মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন, আমাগো চাইল-ডাইলের স্বাধীনতা লাগবো’, ‘মাংসের বদলে কাঁঠাল, ডিজিটাল নিরাপত্তা কালো আইন’-সহ বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
সংগঠক হুজাইফা রহমান বলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন,গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল এই তিনটি সংগঠনের উদ্যোগে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের আয়োজনে শোভাযাত্রাটি আয়োজন করা হয়েছে।আমরা মানুষের সত্যিকারের মঙ্গল যাতে হয় সেই সব বিষয় তুলে ধরেছি।