শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য মুন্সিগঞ্জে সচিবের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘনকুয়াশায় নৌযান ৮ ঘন্টা আটকা, হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে শহীদ জিয়া পরিষদের সদর থানার সভাপতি আলী আজগর পলাশ,সম্পাদক আরিয়ান রাজ ( রউফ) উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলা সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল দোতলা ঘর ফুলবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বিগত বছরে ৬৩৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৫৪৩ জন নিহত – যাত্রী কল্যাণ সমিতি বোয়ালখালীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জাগৃতি কার্যকরী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-২০২৬ শপথ গ্রহণ ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

বরিশালে বিলুপ্তির পথে মুখরোচক খেজুর রস

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২১৫ বার পঠিত

মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ

সারা দেশে শুরু হয়ে গেছে শীতের আমেজ|শীতের সকালে আবছা আলোয় প্রকৃতি থাকে ভেজা,এক চুমুক খেজুরের রস প্রাণকে করে তাজা।ঋতু বৈচ্যিত্রের পালাক্রমে চলছে শীত।ইটপাথরের শহরে এখনও তেমন শীত অনুভব না হলেও গ্রামাঞ্চলে কুয়াশায় মোড়া সকাল জানান দিচ্ছে শীতের।নানা রকম খাবার,ফুল-ফল,সবজি ও পিঠাপুলির আমেজ নিয়ে হাজির হয় শীতকাল।

দক্ষিঞ্চলবাসীর শীতকালীন খাদ্য তালিকায় প্রথমেই আসে অতি প্রিয় খেজুরের রস।আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে এই সময়টাতে ব্যস্ত থাকার কথা গাছিদের।কিন্তু সেটা এখন আর হয়ে ওঠেনা।

খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের তেমন প্রস্তুতি নেই দক্ষিঞ্চলের গ্রাম গুলোতে।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ এবং সে গাছের রসের তৈরি শীতের পিঠা, এক সময় খেজুর রসের মনমাতানো গন্ধে মৌ, মৌ করতো বরিশালের গ্রাম অঞ্চলের পথঘাট অলি গলি এবং রস থেকে গুড় তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করতেন গাছিরা কিন্তু এখন তাও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।

গাছিরা বলছেন,জ্বালানি কাঠ ও কয়লা আপেক্ষা খেজুর গাছ সস্তা দামে পাওয়া যায় বলে ইট ভাটায় এর চাহিদা বেশি সেজন্যই প্রায় খেজুরের গাছ কেঁটে ফেলা হচ্ছে। কেননা,খেজুরের গাছে পোড়ানো ইটের রং গাঢ় হয়। সময়ের পরিবর্তনে ও সচেতনাতার অভাবে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস।

বরিশালের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় গ্রামীন মাঠে আর মেঠোপথের ধারে কোথাও কোথাও দু’একটি খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসাবে, গ্রাম গুলোতে জীব বৈচিত্রের সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়নে বন বিভাগের সচেতনতার অভাবে এসব অঞ্চলে খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে।

এক সময় খেজুর গাছের রস ও তার গুড়ের খ্যাতি থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার সেই পুরনো ঐতিহ্য।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতিমা মাহী বলেন, ‘আগের মতো গ্রাম্য রাস্তার দু’পাশে সারি সারি খেজুর গাছ আর নেই। গ্রামের রাস্তা গুলো সংস্কার ও নতুন করে খেজুর গাছ রোপনে মানুষের আগ্রহের অভাবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ও খেজুরের রস ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে।গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুম আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে। তবে আমাদের অসচেতনতা কারনে খেজুর গাছ এখন বিলুপ্তির পথে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।