তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ
যে বয়সে শিশুরা হৈ হুল্লোড় করে টগবগিয়ে ঘর মাতিয়ে রাখে,শৈশবের আনন্দ উপভোগ করে,সে বয়সে মুখ ফুটিয়ে কথা না বলতে পারলেও,আকারে ইঙ্গিতে জীবন বাঁচার আকুতি করছে।এ যে কতটা বেদনাদায়ক সে শিশুর মনই জানে।২ বছরের শিশু প্রীতম চন্দ্র উদয়,মা বাবার একমাত্র সন্তান। সব সময় থাকতো হাসিখুশি আর দুরন্তপনা বেশে,কিন্তু চোখেমুখে এখন তার নিদারুণ বিষাদের ছাপ।অতটুকু শিশুর বেঁচে থাকার আকুতির ইঙ্গিত দেখলে যে কোন মানুষের হৃদয় ডুকরে কাঁদবেই তাতে কোন সন্দেহ নেই।এমনি এক নিদারুণ দৃশ্যে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যাচ্ছে,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়িনের ৭নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের উৎপল চন্দ্র শীল ও কৃষ্ণা চন্দ্র শীল দম্পতির ঘরে। যে বয়সে পা-পা হাটিহাটি করে ঘর মাতিয়ে রাখার কথা সেই বয়সে বিছানায় শুয়ে বিষণ কষ্টে দিন পার করছে শিশু প্রীতম চন্দ্র উদয়।তাকে সুস্থ করে তুলতে বিভিন্ন মানুষের পরামর্শে প্রথমে গ্রাম্য ডাক্তার আর কবিরাজি চিকিৎসা করে অনেক টাকা পয়সা শেষ করে। আশায় ছিল উদয় ভালো হবে।হঠাৎ উদয় আবার অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন ও আশা কাল হয়ে দাঁড়ায়।কে জানত ফুট ফুটে উদয়দের বেঁচে থাকার বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে হার্টের অসুখ।উদয় কে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান শিশু উদয়ের হার্টে ছিদ্র।পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছে উন্নত চিকিৎসার। প্রীতম চন্দ্র উদয় উপজেলার শ্রীপুর বাজারে সেলুন ব্যবসায়ী উত্তম চন্দ্র শীল এর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আপন বড়ভাই উৎপল চন্দ্র শীল এর একমাত্র সন্তান।
পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়,শিশুটির বাবা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায়,মানুষের চুলদাড়ি কেটে সংসার পরিচালনা করেন ওই শিশুটির চাচা।পরিবারে ৮জন সদস্যের ভরণপোষণের দায়িত্ব তার উপর।গেল একবছর পুর্বে হঠাৎ প্রীতম চন্দ্র উদয় এর এই রোগ ধরা পড়ে।বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাবা ও দরিদ্র পরিবারের চাচা উত্তম চন্দ্র শীল প্রচেষ্টায় সমাজসেবা অধিদপ্তর এর ৫০ হাজার টাকা অনুদান ও প্রতিবেশীদের সহায়তা নিয়ে চালিয়ে আসছিলেন তার চিকিৎসা।কিন্তু বর্তমানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজন আর ৩ লক্ষ টাকা।এ জন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা পেতে দৌড়-ঝাঁপ ও নির্ঘুম রাত পার করছে শিশুটির চাচা ও তার মা।চিকিৎসার টাকা জোগাড় না হওয়ায় দুশ্চিতায় রয়েছেন তারা।বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাবার পক্ষে সামর্থ না থাকায় প্রীতম চন্দ্র উদয়ের জীবন এখন শঙ্কায়।
প্রীতম চন্দ্র উদয় এর বুদ্ধি প্রতিবন্দী বাবা উৎপল চন্দ্র শীল বলেন আমার পোলাটার মুখটার বাকি চাইতাম পারি না।টেকার অভাবে আমার আমার পোলাটারে হারাইতাম চাই না। চিকিৎসার লাগি এত টেকা আমি কই পাই।আমি গরিব মানুষ কামাই রুজি করতে পারিনা।সবেই যদি একটু দয়া করতো তাইলে আমার পোলাটারে চিকিৎসা করাইতে পারতাম।
অসুস্থ প্রীতম চন্দ্র উদয় এর মা কৃষ্ণা চন্দ্র শীল কেঁদে কেঁদে বলেন আমার খুব ভয় হইতাছে,আমি কি আমার ছেলেটারে বাঁচাইতে পারমু।একদিকে স্বামী কামাই রুজি তেমনটা করতে পারে না। দেবরের ক্সমাই দিয়া আমাদের এতোবড় সংসার চলে।এর মাঝে আমার ছেলের চিকিৎসা। আমার বড় ভয় হইতাছে আমার ছেলেটারে মনে হয় টাকার অভাবে চিকিৎসা করাইতে পাড়তাম না।আমার ছেলে জীবন বাঁচাতে মানবিক ও বিত্তবানশীলদের সহযোগিতা কামনা করছি।
অসুস্থ প্রীতম চন্দ্র উদয়ের কাকা উত্তম চন্দ্র শীল কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমার সামান্য আয়ে আমার ভাতিজির চিকিৎসা ও আমাদের পরিবারের খরচ চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।ভাতিজাকে চিকিৎসা করতে ডাক্তারগন জানাইছেন তিন লক্ষ টাকা লাগবে।এতো টাকা আমি কোথায় পাবো।আমার এই অসহায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাইটির একমাত্র সন্তানটিকে বাঁচাতে আমি দেশি-বিদেশের সকল মানবিক ও সমাজের বিত্তবানশীল মানুষের সাহায্যে সহযোগিতা কামনা করি।যোগাযোগ অসুস্থ শিশু প্রীতম চন্দ্র উদয়ের কাকা উত্তম চন্দ্র শীল
মোবাইল বিকাশ পার্সোনাল ০১৭৮০১৯৫৮৮৭