পটুয়াখালীর বাউফলে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে মারধর এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নাজিরপুরের ধানদি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম ফিরোজ মাতব্বর। তার দাবি, তিনি পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থক। অপরদিকে অভিযুক্তের নাম ওমর ফারুক সৌমিক। তিনি এমপি আ.স.ম ফিরোজের কর্মী বলে দাবি করেছেন ফিরোজ মাতব্বর। সৌমিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর সৌমিক তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ফিরোজ তার হার্ডওয়ার ও মেশিনারিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। কয়েকদিন আগে আবার প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এরপর রোববার রাতে সৌমিক তার দলবল নিয়ে সেখানে হামলা চালায় এবং তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক সৌমিক বলেন, আমি ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী। সেজন্য মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দেয়া হচ্ছে।
অভিযোগ পাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বাউফল থানার ওসি শোনীত কুমার গায়েন।