মেহেদি হাসান নয়ন,বাগেরহাট থেকেঃ
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা পুলিশ বিভাগ ও দেশের সম্মান বৃদ্ধি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।‘চাকরি নয়, সেবা’—এই শ্লোগানে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকালে তিনি একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় নতুন পুলিশ লাইনে প্রাথমিকভাবে এ পদের জন্য ৪৮ জন ছেলে ও ৮ জন মেয়েসহ মোট ৫৬ জনের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
নিয়োগ পরীক্ষায় বাগেরহাট জেলার ৫৬টি পদের বিপরীতে এসএসসি পাস ৪ হাজারের অধিক তরুণ-তরুণী ১২০ টাকা ফি জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করেন। বয়স, ফলাফল ও সঠিকভাবে আবেদন না করায় স্বয়ংক্রীয়ভাবে ২ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর আবেদন বাতিল হয়ে যায়। ১ হাজার ৯৩৫ জন শারীরিক মাপ ও শারীরিক কসরতের সুযোগ পান। এদের মধ্যে ৫৩৫ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন মাত্র ১২১ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৫৬ জনকে চূড়ান্তভাবে ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। চাকরিপ্রাপ্ত অনেককে চোখের পানি ঢাকতে নিজেকে আড়াল করতে দেখে গেছে। এভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সরকারি চাকরিতে মেধাবীরা সুযোগ পাবে বলে জানান চাকরিপ্রাপ্তদের অনেকে। তবে উপস্থিত অনেকে বলেন, পোশ্য কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, আনছার ভিডিবি কোটাসহ নানান কারণে অনেক কম মেধাবীর চাকরি হয়ে যাচ্ছে। আসল মেধাবীরা বাদ পড়ে যাচ্ছেন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, স্বচ্ছতার সাথে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখানে অসাধুপায় অবলম্বনের কোন সুযোগ নেই। এই নিয়োগে রাজনৈতিক সুপারিশ বা চাপ ছিল না। মেধাবী এবং শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের নির্বাচিত করে চাকরি দিয়েছি। আশা করি নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা পুলিশ বিভাগ ও দেশের সম্মান বৃদ্ধি করবে।