বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আনমনা প্রাঙ্গণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে ২০০ বছরের মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য মুন্সিগঞ্জে সচিবের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘনকুয়াশায় নৌযান ৮ ঘন্টা আটকা, হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ মুন্সীগঞ্জে শহীদ জিয়া পরিষদের সদর থানার সভাপতি আলী আজগর পলাশ,সম্পাদক আরিয়ান রাজ ( রউফ) উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাতক্ষীরা জেলা সংসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ল দোতলা ঘর ফুলবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বিগত বছরে ৬৩৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮৫৪৩ জন নিহত – যাত্রী কল্যাণ সমিতি বোয়ালখালীতে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাগেরহাটের কচুয়াতে নষ্ট হচ্ছে জমিদার রায় বাহাদুরের বাড়ি ।

এসকে এম হুমায়ুন, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৮৬৯ বার পঠিত

এসকে এম হুমায়ুন, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জমিদার রায় বাহাদুর মহাদেব ঘোষ যে নামটি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা।সম্ভ্রান্ত পরিবারে ওঠা এ প্রতাপশালী উচ্চ শিক্ষিত জমিদার ছিলেন ভয়ংকর অহংকারী ও অত্যাচারি।তার বাড়ির আসপাশ থেকে নিন্ম বর্নের মানুষের চলাচল ছিল নিষিদ্ধ।নিরাপত্তার জন্য পুরু প্রাচীরে ঘেরাছিল ভবনটি।চাকচিক্য আর জৌলুসে পুরো মহল ছিল মুখরিত।বর্তমান প্রজন্মের কাছে যাকিনা গল্পের মত মনে হবে কিন্তু ব্রিটিশ শাসনামলে এই জমিদারের বাড়িটি ছিল এমনি।
এতক্ষণ যার কথা বলা হলো এটি মুলত সেই জমিদার রায় বাহাদুর মহাদেব ঘোষের বাড়ি।বাড়িটির অবস্থান বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালমাঠ নামক স্থানে।যেখানে বর্তমানে কৃষি প্রযুক্তি কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
লোকমুখে জানাযায়,এই জমিদার ছিলেন প্রচন্ড ইসলাম বিরোধী একজন মানুষ শুধু তাই নয় তিনি গরীব কৃষকদের চড়ামূল্যে জমি ইজারা দিতেন।কৃষকরা খাজনা দিতে ব্যর্থ হলে সর্বশান্ত করা হতো তাদের।যতদুর জানাযায় ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় রাতের আঁধারে সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমান তিনি।এরপর আর তদের কোন উত্তর শরিক বাংলাদেশে ফিরে আসেনি।তখন থেকেই এই স্থানটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে।আর বৃটিশ আমলে নির্মিত এ ভবনটির বয়স দেড়শো বছরেরও বেশি বলে ধারনা করা হয়।বয়সের ভারে ভবনটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে আছে।এর শৈল্পিক কারুকাজ আজো মানুষের মনকারে।
বর্তমানে এই জমিদার বাড়িতে এমপিওভুক্ত মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের কার্যক্রম চলছে।এখন দেখভাল আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ প্রকৃত সৌন্দর্য এখন বিলীন হওয়ার পথে।যদিও বেশ কিছুদিন এই ভবনটি কলেজের একাডেমিক ভবন হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকায় ক্রমশই এর সৌন্দর্য বিলীন হচ্ছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি এটা সংস্কার না করে ফেলে রাখা হয় তবে হারিয়ে যাবে শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী এই দৃষ্টি নন্দন ভবনটিও।ভবন টি চারি পাশে যে পুরু ইটের গাঁথুনি দিয়ে তৈরি দেওয়াল ছিল তার অস্তিত্ব এখনো পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেলেও দ্রুতই এর অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে।
এমন পরিস্থিতিতে এটি সংরক্ষণ করে এর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা গেলে পর্যটকদের জন্য এটি হবে আকর্ষণের অন্যতম স্থান সেই সাথে মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের সৌন্দর্য ও এর পরিচিতি বাড়বে বহু গুন।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া এখন জরুরি বলে মনে করে স্থানীয় সচেতন মহল।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।