বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বিজিবির মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান যাত্রীবাহী বাস অর্ধকোটি টাকা মূল্যের কোকেন হেরোইন উদ্ধার বোয়ালখালীতে সিএনজিসহ গরু চোর আটক সাতক্ষীরার দেবনগরে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত তক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ক প্রশিক্ষণ নতুন বছরে উৎস সোস্যাল অরগানাইজেশানের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কালিগঞ্জে ডাম্পার চালিয়ে রাস্তা ক্ষতি সাধন করা যাবেনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল ফের বৃষ্টির আভাস বোয়ালখালীতে সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক ৩১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার নগরঘাটা ইউনিয়ন মানবপাচার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে গিয়ে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল বড় ছেলেরও

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫৩ বার পঠিত

 

আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

বছর তিনেক আগে জীবিকার তাগিদে অবৈধপথে মালয়েশিয়ায় গিয়ে মারা যান দিনমজুর বাবা। এরপর বড় সন্তান হিসেবে মো. ইকবাল হোসেন (২৫) সংসারের হাল ধরতে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুল এলাকায় একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ নেন। সেখানে কাজ করে ভালই চলছিল। দেড় বছর আগে বিয়েও করেন তিনি। ইতিমধ্যে পাঁচমাস বয়সি একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের বাবাও হয়েছেন।

তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত ৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে ওই ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে ইকবালসহ চার শ্রমিক দগ্ধ হন। দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা ৬ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকবাল মারা যান। ইকবাল ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে। নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

নিহতের মামা গোলাম হায়দার বলেন, আমার দুলাভাই খুবই গরীব ছিল। অবৈধপথে বিদেশে গিয়ে মারা যান। তারপর আমার ভাগ্নে পরিবারের হাল ধরেন। কিন্তু সেও আজ লাশ হয়ে ফিরে এলো। বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে তাঁর লাশ বাড়িতে আনা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরে বেলা ১১ টাকা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। তিনি আরও বলেন, চিন্তা করছি ওদের সংসারটা কিভাবে চলবে। এখন নেবে কে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানের দায়িত্ব?।

অন্য দগ্ধরা হলেন, সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষনদিয়া গ্রামে রিয়াজুল ফকির (৩৭), পাশের কাঠালবাড়িয়া গ্রামের রাকিব হোসেন (২৫) ও মতিউর রহমান (৩৩)। এর মধ্যে রিয়াজুল ফকির গত ৮ মার্চ রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংসারের একমাত্র উপার্জকারী ছিলেন রিয়াজুল। তাঁর মৃত্যুতে দুই মেয়ে সন্তান ও স্ত্রী চরম বিপদে রয়েছে।

গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, পেটের তাগিদে মুন্সীগঞ্জের গিয়ে ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করতেন সালথার চার যুবক। সেখান থেকে আয় করে কোন রকমে চালাতেন তাদের সংসার। ওদের রুটি-রুজির সেই ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে দুই জনের জীবন শেষ হয়ে গেছে। বাকি দুই জনও মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুল এলাকায় জে কে নামে একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। এতে সালথার ওই চার যুবক আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।