আহসান উল্লাহ বাবলু সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
আশাশুনির সীমান্তবর্তী শ্যামনগরের বন্যাতলা বায়তুস সালাম জামে মসজিদ ভেঙ্গে অবৈধ জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে ১১নং পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রের ও সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে বন্যাতলা গ্রামের মরহুম আলঃ রুহুল আমিন সানা বন্যাতলা বায়তুস সালাম জামে মসজিদটি ২০০৩ সালে সর্বসম্মতিক্রমে এবং মসজিদ সংলগ্ন সকল মুসল্লিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় স্থাপিত হয়। উক্ত মসজিদে নিম্ন তফসিল বর্ণিত ৮.২৫ শতক জমিজমা জনৈক মরহুম রহিম বকস মোল্যা বিগত ইং ২৯/১২/২০০২ তারিখে ৬৯০৫ নং রেজিঃ ওয়াকফ দলিলমূলে এস, এ খতিয়ান নং- ৩৪৫, সাবেক দাগ নং- ১২৮ বি,এস খতিয়ান নং- ৮৮০, দাগ নং- ৯৮ এবং অন্য খতিয়ান ও দাগসহ একুনে (৮.২৫+১৭.৫০) = ২৫.৭৫ শতক জমিজমা মসজিদের জন্য হস্তান্তর করেন এবং পরবর্তীতে জনৈক মরহুম আলঃ রুহুল আমিন সানা মসজিদের বর্তমান ভবনের পূর্ব পার্শ্বে তাহার মালিকানাধীন সমূদয় জমাজমি মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের সম্মুখে মৌখিক ওয়াকফ ঘোষনা করেন। সে সুবাদে মসজিদের বর্তমান ভবন নির্মানের কাজ উক্ত আলঃ রুহুল আমিন সানা, মরহুম আনছার আলী মোড়ল ও অন্যান্য মুসল্লিদের আর্থিক, দৈহিক ও সক্রিয় পরামর্শেম নির্মিত হয়।
মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্মত্তিতে, প্রতিপক্ষ শ্যামনগর বন্যাতলা গ্রামের মৃতঃ আলঃ আব্দুল অহেদ সানা ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃতঃ আলঃ রুহুল আমিন সানার ছেলে মারুফ বিল্লাহ, মৃতঃ রহিম বকস মোল্যার ছেলে সোলাইমান মোল্যা মসজিদের ওয়াকফকৃত জমিতে সু কৌশলে দোকানঘর মির্নান করিয়া জবর দখলে আছে। উক্ত অবৈধ দখলদারগন মসজিদ গৃহের গ্রীল কেটে মুসল্লিদের যাতায়াতের পথ বন্ধসহ মসজিদ ভবনের অভ্যন্তরে জমাজমি দাবী করিয়া মসজিদে মুসল্লিদের নামাজের পরিবেশ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ফলে এলাকায় মসুলিম অধ্যুষিত পরিবেশে ধর্মীয়, সামজিক ও রাষ্ট্রীয় শৃংখলা ভঙ্গ হইবার উপক্রম হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকার ধর্মপ্রাণ সকল শ্রেণির মুসলমানদের হৃদয়ে কষ্টের কারণ হওয়ায় পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম আমজাদ ও প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু দাউদ একত্রিত হয়ে শুক্রবার সকালে মসজিদ কমিটি, মুসল্লী ও অভিযুক্তদের ডেকে মসজিদের ভিতরে বসে শান্তিপূর্ণ ভাবে আপস মীমাংসা করবেন বলে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাদের আপস মীমাংসা অভিযুক্তরা মেনে নেয়নি বলে মসজিদের ওয়াকফকৃত জমিদাতার ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন। আল্লাহর ঘর রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষে কামনা করছেন মসজিদ কমিটি ও মুসল্লীবৃন্দ।