মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণ উপকূলে আজ সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে।সেই সঙ্গে আছে মৃদু ও ঝোড়ো হাওয়া।আবহাওয়া বিভাগ বলছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে,সিত্রাংয়ের গতিপথ আপাতত বরিশালের দিকে। তবে আশার কথা হচ্ছে,গতকাল রোববার রাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে এবং আজ সকাল থেকে মাঝারি বৃষ্টির কারণে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের শক্তি ক্ষয় হচ্ছে।ফলে এই ঝড়ের তীব্রতা কমার আশা করা হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান বলেন,ঝড়টির গতি যদিও বরিশালের দিকে,তবে বৃষ্টির কারণে এর শক্তি ক্ষয় হচ্ছে। ফলে খুব প্রবল শক্তি নিয়ে এটি আঘাত করার আশঙ্কা কম, তবে বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে উচ্চতর জোয়ার।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়েছে বরিশালের সব জেলা ও উপজেলা।এর মধ্যে বিভাগের ৩ হাজার ৯৭৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উপকূলীয় জেলা বরগুনা,পটুয়াখালী, বরিশাল ও ভোলা জেলা।তবে এখনো এটি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম।কারণ,প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়া বায়ুমণ্ডলে সেই অবস্থা নেই। আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩২ মিলিমিটারের বেশি।এতে এই অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে গেছে।
এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়েছে বরিশালের সব জেলা ও উপজেলা।এর মধ্যে বিভাগের ৩ হাজার ৯৭৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকদের মাঠে নামানো হয়েছে। তাঁরা সংকেত প্রচার করছেন। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গতকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে।
আজ সোমবার দুপুরে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. আমিন উল আহসান বলেন, সরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে ঝড় মোকাবিলায় সমন্বিত ভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।একই সঙ্গে গবাদি পশু আশ্রয়ের জন্য মুজিব কেল্লা গুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় করতে তাঁরা প্রস্তুত আছেন।