বেকারত্ব নিরসনে,শিল্প কারখানা নির্মাণের মাধ্যমে, মুন্সিগঞ্জ জেলায় লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে,বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের পক্ষে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজদিখাঁন উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের মরিচা এলাকায় ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে অংশনেয় স্থানীয় দেড় শতাধিক জমির মালিক ও কর্মহীন সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা।
মানববন্ধনে অংশনেয়া ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বছরের বেশিরভাগ সময়,চাষাবাদের অনুপযুক্ত, অধিকাংশ জমি পানির নিচে নিমজ্জিত থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ফসলের উৎপাদন। এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয়রা।
ফলে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিসিক মুদ্রায়ন শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সকালে। এ সময় প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তরা জানান,শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন,বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর উদ্যোগে ২০১৬ সালে নেয়া প্রকল্পটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ দ্বিতীয় দফার বৃদ্ধি করে, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
তবে সম্প্রতি স্থানীয় একটি মহল,সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সুযোগে প্রকল্পের কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত করতে ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানান।এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম।
পরে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে, দ্রুত আইনগত পদক্ষেপের মাধ্যমে,শীঘ্রই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
পাশাপাশি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ,শিল্পায়ন বৃদ্ধি এবং কয়েক লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
এদিকে স্থানীয়দের দাবির বিষয়টি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে জানিয়ে,প্রকল্প পরিচালক মোঃ নিজামুদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন এর পেক্ষিতে তাদের চেক প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শীঘ্রই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।