বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে লিমা মহিলা উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে বাল্যবিবাহ নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে উঠান বৈঠক বকশীগঞ্জে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পৌর সচিবের বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র সহ তিনজনের সংবাদ সম্মেলন বকশীগঞ্জে সিরাতুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:): জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত । মুন্সীগঞ্জে মিরকাদিম ছাত্রদল নেতা কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করলেন – জসীমউদ্দিন স্বপ্ন পূরণ যুব ফাউন্ডেশনের নতুন সদস্য বরণ ও সেরা সদস্যদের মাঝে সম্মননা ক্রেস্ট বিতরণ ২০২৪ইং বকশীগঞ্জ পৌর সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কালিগঞ্জে বর্তমান চেয়াম্যানের বাড়ি জ্বালানোয় মামলা করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান  বকশীগঞ্জে পুলিশ সদস্য ও তার ভাইয়ের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দ্বশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

বোয়ালখালীতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ ক্ষতির আশংকা বার কোটি

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪৭ বার পঠিত

 

এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির রোপা আমনসহ ফসলের মাঠ। এতে আনুমানিক সাড়ে ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার প্রাথমিক ভাবে সম্ভাবনা রয়েছে। ভারি বর্ষণ ও জোয়ারে বোয়ালখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১ হাজার হেক্টর জমির সদ্য রোপায়িত আমন ধান, ৪০ হেক্টর আউশধান ও ৪০ হেক্টর সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। বোয়ালখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মিলে চলতি মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর। ইতিমধ্যে আবাদ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। ভারি বর্ষণে উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত ও বীজ তলার চারা বানের পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলার ৫নং সারোয়াতলি ইউনিয়নের ইমামুল্লার চর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আসিফ বলেন ,চার কানি জমিতে এবার আমন মৌসুমে ৪৯,৫১, ৯৭ ও লাল পাইজার জাতের ধান রোপণ করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৩ কানি জমি এখনো পানির নীচে ডুবে রয়েছে। আমন ধান রোপণের সময় এখন প্রায় শেষের দিকে। মৌসুমের শুরু থেকেই টানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে ডুবে পঁচে গেছে আমনের বীজতলা। এ মুহূর্তে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে বীজতলা তৈরি করাও সম্ভব নয়।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখনও শত শত হেক্টর আমনের ক্ষেত প্রায় ৩-৪ ফুট পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।শাকপুরা ইউনিয়নের আমতল এলাকার ইকবাল বলেন, ৬ কানি জমিতে আমন আবাদ করবেন তিনি। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আতিক উল্লাহ।
তিনি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চুড়ান্ত করা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত যতটুকু দেখেছি এতে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিন আরো বলেন, অপ্রত্যাশিত এই বন্যা মোকাবেলায় আমাদের মাঠ পর্যায়ের সব কৃষি কর্মকর্তা এই মুহূর্তে কৃষকদের সঙ্গে রয়েছেন। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিকল্প সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।