সুদর্শন চক্রবর্তী, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
“জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান”
এই শ্লোগান নিয়ে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করতে গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে স্লোগানটি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়েছে।
যদিও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐদিন অফিস বন্ধের দিন হওয়ায় অদ্য ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তরুণ কুমার পালের নেতৃত্বে আলোচনা সভা ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা ১১ ঘটিকায় ভাঙ্গা হসপিটাল চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে আলোচনা সভায় মিলিত হন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন। এ সময় আরও অংশ নেন ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার এসএম ফিরোজ রশিদ, সঞ্চালনায় ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানভীর আহমেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ ও ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় ডাঃ ফিরোজ রশিদ তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, কুকুর, শিয়াল, বিড়াল, বানর, বেজি এ সকল বন্য পশুর কামড় ও আচড়ে জলাতঙ্ক রোগটি বিস্তার ঘটে। এটি নিরাময়ের লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগ জনসচেতনতার জন্য জলাতঙ্ক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেমন-কামড় বা আচড় দেওয়ার সাথে সাথে রোগীকে প্রবাহমান পানি দিয়ে (টেপের পানি ছেড়ে) ক্ষতস্থানে কাপড় কাচা সাবান বা ভীম সাবান ব্যবহার করে ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত ধৌত করলে অনেকাংশে জীবাণু ধ্বংস করা সম্ভব। তারপরেও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে জলাতঙ্কের মত ভয়াবহ (নির্ঘাত মৃত্যু) রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জলাতঙ্ক রোগ হলে ১০০% রোগী মারা যায়। এজন্য সকলকে এই স্লোগানটি প্রচার করতে হবে, “জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান।