মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ
পদ্মায় ভেসে যাচ্ছিল জৈনক ব্যক্তিসহ তিনটি গরুর মরদেহ। জৈনক ব্যক্তির মরদেহটি মাছ ধরা পাতানো জালে আটকে যায়। বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া বাজারের ১ কিলোমিটার দক্ষিনে এ দৃশ্য দেখেন স্থানীয় কয়েকজন মানুষ। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সেখানে যান কৌতুহল মানুষ। স্থানীয়দের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে বিষয়টি চারঘাট নৌ পুলিশকে জানান বাঘা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪-৮-২০২৩) দুপুরে নৌ পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকায় পৌঁছার আগেই মানুষের মরদেহটিসহ একটি গরুর মরদেহ নদীর স্রোতে ভেসে যায়। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২টি গরুর মরদেহ ভাসতে দেখেন নৌ পুলিশের সদস্যরা। দুরে থেকে দেখা গরু দুটির মরদেহ দেখে অনেকে ধারনা করেছেন সেগুলো ভারতীয় গরু হতে পারে। এর আগে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারন করা হয় জৈনক ব্যক্তির সহ ভাসমান গরুর মরদেহ।
সরেজমিন ঘটনা স্থলে গিয়ে সেখানকার মানুষকে মন্তব্য করতে শোনা গেছে, নদীপথে ভারতের গরু চোরাই পথে বাংলাদেশে দেশে নেওয়ার পথে নদীর ঢেউ কিংবা স্রোতে রাখলাসহ গরুগুলো মরে যেতে পারে বলে।
সেখানকার একজন কৃষক আব্দুল আলিম ও মৎস্য শিকারি আব্দুল মান্নান জানান,ভাসমান অবস্থায় তারা দেখতে পেয়ে গনমাধ্যম কর্মীসহ পুলিশকে অবগত করেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)খাইরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পরে চারঘাট নৌ পুলিশকে অবগত করেন।
এদিন সন্ধ্যার পরে চারঘাট নৌ-পুলিশের পরিদর্শক বেলাল হোসেন জানান, সেখানে যাওয়ার পরে মানুষের মরদেহ দেখতে পাননি। তবে বড় আকারের দুটি গরুর মরদেহ দেখতে পেয়েছেন। এর আগে একজন মানুষের মরদেহ ও অপর একটি গরুরর মরদেহ ভেসে গেছে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।