এম এ মান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ১০ টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৪০ জন পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের শিক্ষার্থীর মাঝে ৭০০ জন পাস করেছে। এর মধ্যে ১৪০ জন অকৃতকার্য হয়েছে এবং ৫২ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।
এর মধ্যে লায়েছ ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের পরিক্ষার্থী ৫৮ জন পাস ৫৫ জন, ফেল ৩ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন। বংশিকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয় ১০৮ জন, পাস করেছে ৮৭ জন, ফেল করেছে ২১ জন। গলহা উচ্চ বিদ্যালয় ৬০ জন,পাস করেছে ৫৬ জন,ফেল করেছে ৪ জন,জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ জন, আবিদনগর উচ্চ বিদ্যালয় ৪৯ জন,পাস করেছে ৪১ জন,ফেল করেছে ৮ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন। মহিষখলা উচ্চ বিদ্যালয় ৮৪ জন, পাস করেছে ৬৭ জন,ফেল করেছে ১৭ জন,জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ জন,ভোলাগঞ্জ সার্বজনীন উচ্চ বিদ্যালয় ৫৫ জন,পাস করেছে ৩৩ জন,ফেল করেছে ২২ জন। চামরদানী উচ্চ বিদ্যালয় ৫৩ জন,পাস করেছে ৪৯ জন,ফেল ৪ জন,জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ জন। একতা উচ্চ বিদ্যালয় ৩৪ জন,পাস করেছে ২৪ জন,ফেল করেছে ১০ জন। মধ্যনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৭০ জন,পাস করেছে ৬১ জন,ফেল করেছে ৯ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৭ জন, মধ্যনগর বি পি স্কুল এন্ড কলেজ ২৬৯ জন,পাস করেছে ২২৭ জন,ফেল করেছে ৪২ জন,জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৮ জন।

পাসের হারে প্রথম হয়েছে লায়েছ ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজ, দ্বিতীয় হয়েছে মধ্যনগর বি পি স্কুল এন্ড কলেজ।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২২ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মধ্যনগর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের মোট ১০ টি স্কুল থেকে সর্বমোট ৮৪০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এতে ৭০০ জন পরিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।পাসের হার ৮৩.৩৩ শতাংশ।
মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দঃ ইউনিয়নে অবস্থিত লায়েছ ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হারে উপজেলার ১০ টি বিদ্যালয় কে টপকে প্রথম স্থান অর্জন করে। পাশের হার ৯৪.৮৩ শতাংশ।সর্বমোট ৫৮ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ জন পরিক্ষার্থী পাস করে। বাকি ৩ জন পরিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়।জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।অপর দিকে সুনামগঞ্জ জেলার সদ্য ঘোষিত মধ্যনগর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মধ্যনগর বি.পি.উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ জিপিএ-৫ এগিয়ে আছে।এবছর এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২৬৯ জন। এর মধ্যে অংশ গ্রহণ করে ২৬৭ জন শিক্ষার্থী। পাশ করে ২৩৭ জন।পাশের হার ৮৪.৩৮ শতাংশ। জিপিএ -৫ পেয়েছে-২৮ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯ জন অংশ গ্রহণ করে সবাই উত্তীর্ণ হয় এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬জন। মানবিক বিভাগে ২৪৭জন অংশ গ্রহণ করে ২০৫ জন উত্তীর্ণ হয় এবং ফেল করে ৪২ জন। বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে ৩ জন অংশগ্রহণ করে ৩ জনই উত্তীর্ণ হয়।