মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় চিংড়ি ও পোণা মাছ নিধন করার ফাঁদ সয়লাভ, সরকার নিষিদ্ধ অবৈধ বোতল বাইর এখন হাওর অঞ্চলে আগমন দেখা গেছে। কয়েক বছর ধরে প্রবেশ করছে সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত প্লাস্টিকের তৈরী অবৈধ বাইর। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও বাঁধা বিঘ্নি ছাড়াই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে বেচাকেনা , মাছের পোণা নিধনে ব্যবহারও চলছে প্রকাশ্যে। চিংড়ি মাছ নিধন করার ফাঁদ বাইর নামক একটি ফাঁদটি যেনো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ। এলাকার হাওরে প্লাস্টিকের বাইর দিয়ে ধ্বংস করছে চিংড়ি সহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের পোণা মাছ।
এক শ্রেণীর কিছু অসাধু লোভী ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফায় নিষিদ্ধ বাইর বিক্রি করছে প্রশাসনের বাঁধা না থাকায় , হাওর অঞ্চলের মাছ শিকারীদের কাছে অতি গোপনে বিক্রি করে যেমন লুটছে ফায়দা, তেমন মাছের বংশ নিধন কারী জেলেরা বেশি মাছ ধরার লোভে ক্রয় করছে অবৈধ প্লাস্টিকের বাইর। মাছের ভান্ডার মধ্যনগর হাওর অঞ্চলে এধরনের নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বাইর সংগ্রহ করে, বর্ষার মৌসুমে ছোট ছোট নৌকা দিয়ে হাওরে প্রবেশ করে, প্লাস্টিক বাইরের ফাঁদ পেতে,ধ্বংস করছে দেশীয় মাছের প্রজনন। বিলীন হচ্ছে চিংড়ি সহ নানা জাতের মাছের পোণা ।
বর্ষার শুরুতেই প্রতিনিয়তই কলমাকান্দা উপজেলা দিয়ে মধ্যনগরের মহিষখলা হয়ে, প্রবেশ করছে বৃহত্তর টাঙ্গুয়ার হাওর সহ বিভিন্ন হাওরে। প্রায়েই দেখা যায়, ছোট ছোট যানবাহনের মাধ্যমে অবৈধ মাছ ধরার বোতল বাইর, হাওর এলাকায় এভাবেই পৌছে দেয়া হয় । এবং নদীপথেও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলা থেকেও ছোট বড় নৌযান দিয়েও প্রবেশ করতে দেখা যায় ।
প্লাস্টিকের বোতল বাইরের পাইকারী বিক্রি হয় এক হাজারটি সর্ব নিম্ন মূল্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্লাস্টিক জাতের বাইর গুলো মাছ শিকারের অনুপযোগী হয়ে গেলে, শিকারীরা যেখানে সেখানে ফেলে দেয়ার দরুন নষ্ট হচ্ছে হাওরের পরিবেশ। ফসলি জমিতে উর্বরতা নষ্ট হয়ে জমিতে হাল চাষে ঘটে ব্যাপক বাঁধা ।
প্রায়েই দেখা যায় কলমাকান্দা উপজেলা থেকে মধ্যনগর উপজেলার মহিষখলা দিয়ে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে অটো গাড়ি দিয়ে প্রবেশ করারও এমন দৃশ্যে চোখে পড়ে। বাইর বহনকারী অটো চালক এর কাছ থেকে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত এসব রোড দিয়ে আসা সর্বনাশা বাইর, টাঙ্গুয়া সহ সবকটি হাওর পাড়ের গ্রাম গুলোতে বিক্রি করা হয়। এবিষয়ে মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্তে দায়িত্বে থাকা মৎস অফিসার সালমুন হাসান বিপ্লব’র সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।