এম এ মান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে দুটি চাল বিক্রয় কেন্দ্র একই স্থানে থাকায় কার্ড ধারী ভুক্তভোগীরা পোহাচ্ছে নানান দুর্ভোগ। ধর্মপাশা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন এর গোলগাঁও ও ভাঙালভিটার পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩৭১ জন কার্ড ধারী উপকারভোগী নিয়ে মোঃশাহজাহানকে এবং মহিষখলার পার্শ্ববর্তী ৩৯৩ জন কার্ড ধারী উপকারভোগী নিয়ে মোঃআইয়ুব আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।দুইজন ডিলারই মহিষখলা বাজার থেকে চাল বিক্রয় করছেন।মহিষখলা বাজার থেকে গোলগাঁও ও বাঙালভিটার পার্শ্ববর্তী এলাকার দুরত্ব প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার হওয়ায় কার্ডধারী ভুক্তভোগীরা চাল সংগ্রহে একদিন কাজ বন্ধ রাখা সহ নানান দুর্ভোগের পাশাপাশি গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।একদিনের মজুরি ও ভাড়ার টাকার কারণে অনেকেই চাল সংগ্রহ করতে পারেন না বলে জানা যায়। এমতাবস্থায় মহিষখলা হতে গোলগাঁও বাজারে বিক্রয়কেন্দ্র স্থানান্তরের দাবি এলাকাবাসীর।
উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি জালাল উদ্দীন বলেন-ফেয়ার প্রাইজের চাল গোলগাঁও বিক্রয় করার কথা থাকলেও তারা কৌশলে সেটি মহিষখলা বাজারে কেন্দ্র স্থাপন করে চাল বিক্রয় করছে এতে অনেকেই চাল সংগ্রহ করতে পারছে না।সেই চাল প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করছে।
উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুন্নবী তালুকদার বলেন-খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এলাকার অসহায় গরীব লোকজনকে স্বল্প মুল্যে চাল বিক্রয়ের কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে চালু করেন।আমার ইউনিয়নের গোলগাঁও ও বাঙালভিটার সাধারণ লোকজন মহিষখলা বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করতে নানান দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত একজন ডিলার গোলগাঁও বাজারে স্থানান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন-এ বিষয়ে তদন্ত করে ধ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।