মোঃ রায়হান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় “মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের নাম হুবহু ব্যবহার করে ভূয়া কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই কথিত কমিটিতে রওশন আলমকে সভাপতি ও সুলতানকে সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের মান্দা উপজেলা কমিটির সদস্যদের ভাড়া করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছেন। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করিয়াছেন কথিত নাম সর্বস্ব কিছু সাংবাদিক। জানা যায় গত ১৫ই সেপ্টেম্বর নিয়মতান্ত্রিকভাবে সকল সদস্যদের অবগত করে মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করা হয়। যা প্রথম সারির বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ ছাপা হয়। দীর্ঘ চার মাস ধরে সে অনুযায়ী মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের অফিস ও কার্যক্রম থাকা স্বত্বেও তারা এরকম ভূয়া পকেট কমিটি গঠন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এতে মূলধারার সাংবাদিকদের মানক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, ভূয়া কমিটির দাবিদার সদস্যদেরকে কখনও মূল ধারার সাংবাদিকতা করতে দেখা যায়নি। মূল প্রেসক্লাবের কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটাতে এমন উদ্ভট কমিটি গঠন করেছেন বলে অনেকের অভিমত। এরকম কর্মকান্ড করার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মূল প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ। শুধু তাই নয়া পকেট কমিটিতে ইচ্ছামত উপদেষ্টা বানানো হয়েছে বলে কয়েকজন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন। এব্যাপারে মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোল্লা মোঃ এমদাদুল হক জানান, আমাকে উপদেষ্টা করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমি তাদের নিষেধ করে দিয়েছি। আমি এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত নয়। আরেক উপদেষ্টা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ ইকরামুল বারী টিপুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগের কমিটির বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এজন্য আপনাকে উপদেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বুলবুল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল তুহিনের সাথে কথা হলে তারা জানান, মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে যারা ভূয়া পকেট কমিটি করে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।