মোঃ রায়হান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় মরা ও অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রিয়ের অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানী টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন কে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৪ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যার পর মটগাড়ী সরদার পাড়া গ্ৰামের আব্দুল বারী খামারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগ সাংবাদিক আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল বারী খামারে ২টি গরু গরমে স্ট্রোক করে মারা যায়। সেখান থেকে একটি গরু লোক দেখানোর জন্য মাটিতে পুঁতে ফেলে। আর বড় গরুটি জবাই করে, বিষ্ণুপুর ইউপির শিবনগর গ্রামের আলমগীর ওরফে (আলম) নামে এক কসাই এর কাছে বিক্রি করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মান্দা থানা পুলিশকে অবহিত করে আব্দুল বারীর খামারে যান সাংবাদিক আমজাদ হোসেন। সেখানে গিয়া কিভাবে গরু অসুস্থ হলো এবং গরু জবাই করেছে কিনা কার কাছে বিক্রি করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনা বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা জখম করে। এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে মান্দা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত আমজাদ হোসেন বলেন, ঘটনার দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে আব্দুল বারীর খামারে মরা গরু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে, এই সংবাদে তথ্য সংগ্রহ করতে এমন নেককারজনক ঘটনা তথ্য ফাঁস হওয়া ভয়ে তারা আমার উপর হামলা করে। বিষয়টি বিভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে এ ব্যাপারে কসাই আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি মরা গরু এবং অসুস্থ গরু ক্রয় করেছেন স্বীকার করে বলেন ইতিপূর্বও আমি আব্দুল বারী সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মরা অসুস্থ গরু ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঐদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম ঘটনা সত্যতা আছে আরো নিবিড় ভাবে ঘটনা সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।