মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার অন্তর্গত আব্দুল্লাপুরের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল্লাপুরের খালটি দখল দূষণে ও পলিজমে নাব্যতায় কারনে প্রায়ই মৃত ।
আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে পুরনো ও বড়ো এই খাল হলো ” আব্দুল্লাপুর খাল” ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়ার উত্তর দিক থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমে খালটি ২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আব্দুল্লাপুর বাজারের আদি ঘাট থেকে সোজা দক্ষিণে মাঈফরাস পাড়া গ্রাম পেরিয়ে, আব্দুল্লাপুর মাদ্রাসার উত্তর পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে দক্ষিণে কাচারীপাড় গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে বামে বাঁক নিয়ে সোজা পূর্ব দিকে আব্দুল্লাপুর হাইস্কুলের দক্ষিণ পাশ দিয়ে এগিয়ে কমলাঘাট- টংগিবাড়ীর প্রধান খালের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময় এই খালটি দিয়ে বড় বড় নৌকা ও ট্রলার চলাচল করতো। খালটির
উভয় প্রান্তের প্রায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ির মানুষজন বর্ষা মৌসুমে খালেই গোসল করতো।
খালের পানি আলু সহ বিভিন্ন আবাদি জমিতে ব্যবহার করতো। গৃহস্থালির যাবতীয় ধোলাই এর কাজ খালের পানিতেই করতো। বর্ষা মৌসুমে খালটিতে একাধিক মাছ ধরার ভেল পেতে দিনরাত মাছ শিকার করতো মৌসুমী মৎস্যজী ।বীরা, এছাড়াও স্থানীয়রা বড়শি দিয়ে খাল থেকে মাছ ধরতো।
খালটি অনেক গভীর ছিলো। খালের পানিও ছিলো খুব সচ্ছ টলমলে। খালটির উপর বিভিন্ন স্থানে ৮ টি ছোট বড়ো সেতু রয়েছে। বর্তমানে খালটিতে বর্ষা মৌসুমের পানি বাহিত পলি, বৃষ্টির পানির সাথে উচু ঘরবাড়ি থেকে নেমে আসা মাটি এবং উভয় পাশের মানুষের ফেলা ময়লা আবর্জনার কারণে খালটি ভরাট হয়ে গিয়ে মাঝখানে চিকন নালায় পরিনত হয়ে একই সাথে দখল দূষণের কবলে পড়ে আব্দুল্লাপুর খালটি বর্তমানে মৃতপ্রায়। খালটি খননের জন্যে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদেরকে বলেছেন বটে। কিন্তু কেউ কোনো প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মোঃ আকরাম মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনিও একমত পোষণ করে বললেন, খালটির পশ্চিমই তার ৪ নং ওয়ার্ডের অবস্থান।
ভবিষ্যতে জমি ভরাট করে বাড়ীঘর গড়ে উঠলে বাসাবাড়ির পানি ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনে এখনি খালটিকে খনন করা জরুরি।
তিনি আরো বলেন,আমি খালটি খননের জন্যে আমি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন
জানাবো।