মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের কিশোরকে সিগারেট না দেওয়ার আরেক অজ্ঞত(১৬)কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মোঃ সাজ্জাদ(১৫) নামের কিশোর।
মুন্সীগঞ্জের চর মুক্তারপুর এলাকার কামাল দেওয়ানের ভাড়াবাড়ি থেকে অজ্ঞাত কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের টিম ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একই রুমে সাজ্জাদ, নজরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, ইমরান শেখ তারা কামাল দেওয়ানের বাড়ির একটি রুমে থাকেন। সাজ্জাদ ছাড়া সকলেই সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঘরে ওই মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায় তারা। পরে ঢাকা সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি টিম এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মেহেরুনেছা জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সাজ্জাদ রান্না ঘড়ে এসে বলে আমার কাছে বটি চায় আমি তাকে জিজ্ঞেস করি বটি দিয়ে কি করবে সে আমাকে জানান ফ্যানের সাথে একটি রশি আছে সেটি কাটতে হবে তারপর সে বটি নিয়ে চলে যায় তারপর আমি আর কিছুই জানিনা।
এলাকাবাসী মোঃ শাকিল জানান, ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে সাজ্জাদ তার ব্যাগ নিয়ে বসে আছি আমরা এলাকাবাসী তাকে দেখে বলি তুই কি এই কাজ করেছিস প্রথমে কিছু না বললেও তার পরনের গেঞ্জিতে রক্ত দেখে আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি তারপর সে বলে আমি নিহতের কাছে সিগারেট চাই কিন্তু সিগারেট আমাকে দেয়নি আর আমার সাথে খারাপ আচরন করে শুয়ে থাকে তারপর আমি বটি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করি। পরে আমরা এলাকাবাসী তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল ইসলাম জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যার প্রাথমিক ক্লু পাওয়া গেছে। তারা দুইজন রুমে প্রথমে প্যান্ট কাটে তারপর তাদের মধ্যে সিগারেট নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সাজ্জাদ তাকে দা দিয়ে প্রায় ৪-৫ টি কোপ দেয় সেখানের তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন নামের এক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
লাশ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে। এখন পযন্ত নিহতের পরিচয় যানা যায়নি ।