গলা টিপে শ্বাসরোধ করে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া সিফাত (১৪) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহান (১৫) নামের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার তিলারর্দিচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিফাত তিলারর্দিচর এলাকার দোলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে রিকাবিবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
একই এলাকার বন্ধু সোহেল মিয়ার ছেলে সোহান (১৫) স্কুল ছাত্র বন্ধুকর গলাটিপে হত্যা করেছে বলে দাবী করেছে নিহতের পরিবার। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সোহান স্থানীয় একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে
জানা গেছে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধু সিফাত ও সোহানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহান সিফাতের গলা চেপে ধরে। এ সময় শ্বাসরোধে অচেতন হয়ে সিফাত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে মামাতো ভাই সাঈদসহ স্থানীয়রা সিফাতকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের বোন সুমাইয়া আক্তার জানান, ইফতারের পর দুই বন্ধু সিফাত ও সোহান একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করছিলো বাড়ির বাইরে। রাতে তিলারদিচর জামে মসজিদ সংলগ্ন বাশের সাঁকো উঠে দুইজন। এ সময় সিফাত ধাক্কা দেয় বন্ধু সোহানকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহান গলাটিপে ধরে সিফাতের। এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সিফাত।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এমএ কালাম প্রধান বলেন, রাত সোয়া ৮ টার দিকে সিফাত নামে ওই কিশোরকে আনা হয়। আনার আগেই সে মারা গিয়েছিলো। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে ফার্নিচার শ্রমিক সোহান (১৫) কে আটক করেছে হাতিমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র।
হাতিমারা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ অমর চন্দ্র দাস বলেন, দুই কিশোরের মধ্যে সামান্য ঘটনা নিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি বিষয় নিয়ে সিফাত ও সোহানের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।