মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন: ৩ আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড হলিউডের Rags to Riches মু‌ভি‌তে মুন্সীগ‌ঞ্জের আর পি রুবেল জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাক) এর মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি হাসেম  জুলাই বিপ্লবের অন্যতম কারিগর জাজাকাল্লাহ সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সম্পাদকের সৌজন্য সাক্ষাৎ  মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে  বনভোজন  অনুষ্ঠিত । ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সহকারীদের মানববন্ধন  মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চরকেওয়ারে‎ শ্রীনগর থানা পরিদর্শনে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন সাইদুর রহমান ফকির । মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত

মোরেলগঞ্জ সাব-রেজিস্টারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২১৬ বার পঠিত

 

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। সাব রেজিস্টার তন্ময় কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে সেবা প্রাত্যাশীদের নানাভাবে হয়রানি,অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী। উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান টুকু লিখিত অভিযোগে বলেন, গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ০.৬৩০০ একর বিলান জমি যার দলিল নম্বর ৬৫০৭, দাতা ইদ্রিস আলী রেজিস্ট্রি নিতে গেলে সাব-রেজিস্টার তন্ময় এজলাসে বসে তার কাগজ ঠিক নেই বলে দলিল ছুড়ে মারেন। পরবর্তীতে স্থানীয় একজন মহুরি তাকে সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা সাব রেজিস্টারকে দিতে বললে ভুক্তভোগী টুকু কোন উপায় না পেয়ে ২০ হাজার টাকা মহুরি সোহাগের হাতে তুলে দেন।পরে উক্ত দলিল কোন যাচাই -বাচাই ছাড়াই রেজিস্ট্রি করে দেন। এর পরে ভুক্তভোগী তার কাগজ ঠিক ছিল বলে দাবি করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবহিত করেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সাব- রেজিস্টার কোন উপায় না পেয়ে কামরুজ্জামানকে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। মোরেলগঞ্জে সপ্তাহে দুইদিন অফিস করেন এই সাব-রেজিস্টার।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ এই দুইদিনে তিনি ৫ লক্ষাধিক টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন। একশ্রেণির দালাল সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এই উপজেলার সেবা প্রত্যাশীরা। দলিল লেখক, স্ট্যাম্প ভেণ্ডার ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত এ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে সাব-রেজিস্টার তন্ময় জড়িয়ে পড়েছেন নানা অনিয়মে।অভিযোগ রয়েছে, সাব-রেজিস্টার সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন দেখিয়ে, সাব-কবলা দলিলের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ, অসিয়ত নামা আমমোক্তার নামা দলিল রেজিষ্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিলের টুকিটাকি ভুল ধরে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।তিনি এ অফিসে যোগদানের পর থেকে দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি দলিল থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে। এ টাকা সিন্ডিকেটের সমন্বয়ে ভাগ ভাটোয়ারা করা হয়ে থাকে। জানা গেছে, দলিলের ফিস ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করলেও অতিরিক্ত ফি ছাড়া সাব-রেজিস্টার কোনো দলিলরেজিস্ট্রি করেন না। সাব রেজিস্ট্রার চাহিদা মতো টাকা না পেলে বিভিন্ন কাগজ পত্রের অজুহাতে হয়রানি করেথাকেন। আবার টাকা পেলে সব বৈধ হয়ে যায়। দলিল লেখক সেরেস্তা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি তো দূরের কথা সীমাহীন হয়রানির স্বীকার হতে হয় ভুক্তভোগীদের। তাই বাধ্য হয়েই শেরেস্তা (অতিরিক্ত ফি) দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয়। তবে কাগজপত্রে ঝামেলা থাকলে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রত্যেক দলিল থেকে সেরেস্তার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলেও সিন্ডিকেটের ভয়ে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্টার তন্ময় কুমার মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে (০১৭১৭৯৬৪৯৪০) বারংবার যোগাযোগ করা হলে ও তিনি ফোন ধরেননি।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।