প্রশান্ত বিশ্বাস বাঘারপাড়া যশোর( প্রতিনিধি)
যশোরের জেলার বাঘারপাড়া থানা চৈত্র মাসে পালিত হলো ঐতিহ্যবাহী খেজুর সন্ন্যাসী পূজা হাজারো ভক্ত দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়, অত্র বাঘারপাড়া উপজেলা ড্যাপখালি পাইকপাড়া বাশুয়াড়ী,
আজ ২৯ চৈত্র বাংলা ১৪২৯ রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় পালিত হলো সনাতন ধর্মাবলম্বী পাট পূজা খেজুর সন্ন্যাসী পূজা হয়। খেজুর সন্ন্যাসী পূজা হলো দশ থেকে বারো জন সন্ন্যাসী যুবক তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে খালি পা ঢাকের বাজনার তালে তালে খেজুর গাছ ঘুরতে থাকেন , বল শিব ও মহাদেব রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর ১৪৮৫ সালে চড়ক পূজা (দেল পূজা ) আরম্ভ করেন । হিন্দুরা এই পূজা করে থাকে ।
চৈত্রের শেষ তিন দিন এই পূজা করা হয় । সকল সন্ন্যাসীরা সারা দিন উপোস থেকে পূজা শেষ করে রাতে একবার নিরামিষ খেতে হয় । বাকী সময় জলও স্পর্শ করা যায়না এটা ভেবে ক্ষতি হতে পারে । দলে একজন মূল সন্ন্যাসী থাকে ,তার নিয়মানুযায়ী সকল সন্ন্যাসীরা তার দিক নির্দেশনা পালন করে । রাতে শ্বশ্মানে ফল , দূধের ক্ষিরও দূধ, কলা প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হয় যেটা শিব ঠাকুর ভক্তি হয়ে গ্রহণ করে।
বলে বিশ্বাস করে থাকে । এই পূজার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো জলন্ত আগুনে ঝাঁপ দেওয়া অথবা নৃত্য করা ,বাণ ফোড়া ,শরীরে বর্শি ফুড়ে বিশ ফুট উচু চড়ক গাছে ঘোরা , কাঁটাযুক্ত গাছে উঠা (খেজুর গাছে উঠা কোথাও কোথাও আবার খেজুর ভাঙা বলা হয়) ধারালো তরবারীর উপর হাটা, কাঁটার উপর গড়াগড়ি দেওয়া , পরজন্ম অথবা পূর্বজন্ম
আছে এটা বিশ্বাস করা এবং ভূত পেত বিশ্বাস করা পাড়া ,সহ এই উৎসব পালিত হয় আরো কয়েকটি ধলগ্রাম ইউনিয়নেন মানিকদহ , ভুলবাড়িয়া , শ্রীপুর, এগারোখান বাকড়ী, নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন সহ, মাইজ পাড়া ইউনিয়ন, পুড়াডাংঙা, তালেশ্বর , বাবনহাট, বুয়ালিয়া, বাশুয়াড়ী, উক্ত পূজায় সন্ন্যাসীরা শিব পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।