রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে রায়পুর নিজদেবপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন ,বাবলু সভাপতি ,মজনু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত  কালিগঞ্জে রায়পুর নিজদেবপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন ,বাবলু সভাপতি ,মজনু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত মুন্সিগঞ্জে টঙ্গীবাড়িতে পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান  সুমন হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও পূন: তদন্তে প্রকৃত আসামীদের মুন্সীগঞ্জে আনমনা প্রাঙ্গণের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ককে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগে কম্বল বিতরণ বাকসাপ কর্তৃক লেখক পুরস্কার-২০২৫ নির্বাচিত হলেন যারা আজ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, সংবাদ কর্মীসহ আহত ৭ জন রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠে বিআরডিবি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম নওগাঁর মান্দায় এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে জখম থানায় মামলা নিতে হয়রানের অভিযোগ

যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া, আবারো অটোরিক্সার ভাড়া বাড়াতে চাই বিআরটিএ- যাত্রী কল্যাণ সমিতি

এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ১৮১ বার পঠিত

 

এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মতো ছোট একটি পরিবহন খাতের ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধে বারবার ব্যর্থ হলেও বিআরটিএ আবারো নতুন করে অটোরিক্সার যাত্রী ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ ০৩ জুন সোমবার দেশের গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ তুলেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির ২০১৬ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ৯৮ শতাংশই মিটারে চলে না। ৮৭ শতাংশ যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যায় না । এসব সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি যখন চরমে পৌঁেছছিলেন ঠিক তখনই রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার একটু স্বস্থির র্বাতা নিয়ে যাত্রীদের পাশে দাঁড়ায়। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এসি বাস চালু হতে যাচ্ছে। এসব কারনে চাপে পড়ে অটোরিক্সার এসব ভাড়া নৈরাজ্য এখন বন্ধ হওয়ার পথে। ঠিক তখনই কতিপয় অটোরিক্সার মালিক সমিতির নেতারা বিআরটিএর সাথে আতাঁত করে আবারো নতুন করে ভাড়া নৈরাজ্য উস্কে দিতে যাত্রীভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিআরটিএর দ্বায়িত্ব ছিল সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মিটারে চলাচল নিশ্চিত করা। প্রতিটি অটোরিক্সা বিনাপ্রশ্নে যাত্রীদের পছন্দের গন্তব্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। ছোট এই দুটি অঙ্গীকার প্রতিষ্টায় সম্পূণ ব্যর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ। তারা যাত্রী প্রতিনিধি ছাড়া, যাত্রীদের অভিযোগ নিম্পত্তি ছাড়া, পূর্বের ভাড়া বাড়ানোর সময়ে যাত্রী সেবা সংক্রান্ত অটোরিক্সা মালিক সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত অঙ্গীকারনামা পুরনে ব্যর্থতার পরেও অদৃশ্য কারনে সম্প্রতি বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য গোপনে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকের পর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা রাতারাতি বৃদ্ধির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তিনি মালিকদের সাথে আতাঁত করে এহেন ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করার দাবী জানান।

উল্লেখ্য যে, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা পরিচালনার জন্য ২০০৬ সালের একটি নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য একই হারে যাত্রী ভাড়া ও মালিকের জমা নির্ধারণ করা হয়। সরকার অটোরিক্সার দৈনিক জমা যখন ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন তখন এই নীতিমালা লংঘন করে ঢাকা মহানগরীর অধিকাংশ মালিক ২ বেলায় ৬০০ টাকা করে দৈনিক ১২০০ টাকা জমা আদায় করেছে। এরপর সরকার অটোরিক্সার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নির্ধারণ করলে এখন কোন কোন মালিক ২ বেলায় ৮০০ টাকা হারে দৈনিক ১৬০০ টাকা আবার কেউ দৈনিক ১৮০০ টাকা আদায় করছে। এই বিষয়ে একাধিক শ্রমিক সংগঠন সুর্নিদ্দিষ্ট তথ্য উপাত্তসহ বিআরটিএর কাছে অভিযোগ জমা করলেও বিআরটিএ এহেন দৈনিক জমা আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে দৈনিক জমা ১১৫০ টাকা করা হলে যাত্রীরা আবারো অটোরিক্সার ভাড়া নৈরাজ্যর শিকার হবে বলে মনে করে যাত্রী অধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত এই সংগঠনটি। অটোরিক্সা মালিকদের এহেন অতিরিক্ত দৈনিক জমার কারনে ৪ লক্ষ টাকা দামের একেকটি অটোরিক্সা মেট্রো নিবন্ধন পেলে ২২ থেকে ২৫ লক্ষ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। অথচ একটি পুরনো বাসের দাম ১০/১২ লক্ষ টাকায় পাওয়া যায়। সরকার মধ্যআয়ের লোকজনকে যাত্রীসেবা প্রদানের মাধ্যমে দিয়ে প্রাইভেট গাড়ি চাহিদা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে এই অটোরিক্সা সার্ভিস চালু করে। দফায় দফায় মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধির কারনে প্রতিটি অটোরিক্সা এখন একেকটি স্বর্ণের ডিম পাড়া হাঁেস পরিনত হয়েছে। এইখাতে যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য চরমে উঠার কারনে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেট পরিবহনের দিকে ঝুঁকছে। এতে নগরীর যানজট ও জনজট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব অটোরিক্সার লাঘাম টেনে ধরার পরিবর্তে ভাড়া নৈরাজ্য উস্কে দেওয়া সমিচীন হবে না বলে মনে করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

একইসাথে প্রতিটি অটোরিক্সার মিটারে চলাচল নিশ্চিত করা, বিনাপ্রশ্নে যাত্রীরা যেখানে যেতে চাই সেখানে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে এই সেক্টরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্টার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান তিনি।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।