মোঃ শফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
আজ বুধবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু’র জৈষ্ঠ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশ। এখন শুধু অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেয়া।
আয়োজকদের মতে এই জনসভা হবে জনসমুদ্রে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করবেন এই রংপুর থেকে। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশের সকল প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুর জেলা ও মহানগর সহ অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দগণ। নৌকা প্রতীক আর মিছিলে মিছিলে এলাকার নগরী। গত কয়েক দিন থেকে চলে আসছে বর্ণিল-বর্ণাঢ্য প্রচারণা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। নগরীর বৈদ্যুতিক পিলার, ল্যাম্প পোস্ট, দেয়াল, গাছ কোথাও ফাঁকা নেই। ধুয়ে মুছে চকচকা করা হয়েছে রাস্তাঘাট, রোড ডিভাইজার। চলছে বাদ্যযন্ত ও গানের তালে নেচে গেয়ে মাইকিং। জনসভা স্থল ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, জিলা স্কুল মোড়, ডাকঘর মোড়, সুরভি উদ্যান মোড়, জাহাজ কোম্পানি মোড়, সাতমাথা মোড়, কামালকাছনা মোড়, মাহিগঞ্জ, পার্কেরমোড়, মর্ডান মোড়, দর্শনা মোড়, মেডিকেল মোড় সহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করা হচ্ছে।
প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় নেতারা আসছেন। শেষমূহূর্তে মাঠ পরিদর্শন সহ বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তারা। জনসমাবেশ সফল করতে গত এক সপ্তাহ থেকে নেতা-কর্মীদের নাওয়া -খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক ( রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ) সুজিত রায় নন্দী সহ অনেক নেতাই এখন রংপুরের জনসভাকে সাফল্য মন্ডিত করতে অবস্থান করছেন।
মঞ্চ প্রস্তত করা হয়েছে। জনসভা স্থল রংপুর জিলা স্কুল মাঠে এসএসএফসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন সর্বোচ্চ সতর্কতা দিয়ে। মাঠের দক্ষিণ পশ্চিম কোনায় নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ।
পাশেই মিডিয়া, মুক্তিযোদ্ধা ও অতিথি কর্ণার। সামনে থাকবে জনতা। এদিকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে রংপুর মহানগরীতে ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সু-ব্যবস্থা।
শুধু তাই নয় কোন ব্যক্তি কিংবা গাড়িকে সন্দেহ ভাজন লাগলে তল্লাশি করা হচ্ছে।
সর্বোচ্চ সতকর্তার সহিত প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসা – যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘির পুত্রবধু বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন রংপুরে।
বধূবরণে আয়োজনের বিন্দুমাত্র কমতি নেই কোথাও। মিছিলে মিছিলে এবং নৌকা প্রতীকে একাকার নগরী। চলছে বর্ণিল -বর্ণাঢ্য প্রচারণা।
এদিকে নেতাকর্মীদের ধারণা জিলা স্কুল মাঠের জনসভামঞ্চ থেকে ২০১১ সালের মতো আবারও বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় কোন চমক।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক জোন, বন্ধ চিনিকল খুলে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা আসতে পারে আজকের জনসভা থেকে।
এছাড়াও ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার ২৭টি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন এবং নতুন করে আরও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।
এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ পানির বোতলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে আজকের জনসভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে স্থানীয়দের সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মানুষের প্রত্যাশা অনেক। এখন রংপুরবাসী অপেক্ষা করছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠ্য কন্যা রংপুরের পুত্রবধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি রংপুরবাসীকে কি সুখবর দিবেন।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালে ২৩ ডিসেম্বর। এসময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি পৃথক নির্বাচনী জনসভা করেন।
এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠ্য কন্যা বতর্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।