মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ চৌধুরী,রাউজান (চট্টগ্রাম)
রাউজানে মেজবানির রান্নার সময় চুলার আগুনে দগ্ধ হওয়া বাবুর্চির সহযোগীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত এই বাবুর্চির সহযোগী হলেন মো. আবু ছৈয়দ (৫২)। সে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে পলোয়ান পাড়া গ্রামের সিকদার বাড়ির মরহুম ছিদ্দিক আহমেদের ছেলে।
৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোররাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সোহেল এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এই মেজবানি অনুষ্ঠানের প্রধান বাবুর্চি ইয়াকুব ও প্রত্যক্ষদর্শী সহযোগীদের সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট (শনিবার) সকাল ১০ টায় নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সম্মুখে বৈশাখী কমিউনিটি সেন্টারে একটি কুলখানি উপলক্ষ্যে আয়োজিত মেজবানি রান্নার সময় চুলার লাকড়িতে কেরোসিন ঢালতে গিয়ে কাপড়ে আগুন লেগে পুড়ে যায়।
প্রধান বাবুর্চি ইয়াকুব আরো জানান, আগুনে পুড়ে গেলে তাকে পাঁচশত টাকা দিলে তিনি নজুমিয়া হাটস্থ তার ভাড়া বাসায় চলে যায়। সেখান হতে তার স্ত্রী তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।