উত্তম চক্রবর্তী,মনিরামপুরঃ
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে তরিতরকারি ও নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তা সাধারন ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপেদ রয়েছে। বাজার মূল্যের অস্থিতিশীল পরিবেশে ক্রেতা-সাধারণ, দোকানে কমই ভিড়ছে। রাজগঞ্জ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- দফায় দফায় দ্রব্যের মূল্য বাড়ছে। এতে নিম্ন আয়ের ক্রেতা-সাধারণ বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে যেয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এই অনিয়ন্ত্রিত দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজার দর নিয়ে বেশী বেকায়দায় পড়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে সরেজমিন রাজগঞ্জ কাঁচা বাজারে যেয়ে দেখা যায়- তরিতরকারির মূল্য সীমাহীনভাবে বেড়ে গেছে। বাজার ঘুরে জানা গেছে- প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, কচুরমুখি ১০০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, কাঁচাকলার কেজি ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, চিচিঙা ৬০টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, খিরাই ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাগজী লেবু প্রতি পিচ ৫ টাকা, গোলআলু ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, কাঁচা ঝাল ২০০ টাকা, ডাটা ৩০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লালশাক ৬০ টাকা ওল ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব্জির যথেষ্ঠ আমদানী থাকার পরও মূল্য বেশী হওয়ার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাজগঞ্জ কাঁচা বাজারের খুচরা দোকানী মিন্টু জানান- পাইকারদের কাছ থেকে এখন চড়া দামে সব্জি কিনতে হচ্ছে।
তাই যেমন দরে কিনছি, তেমন দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচা তরিতরকারির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। রাজগঞ্জ বাজারের একজন মুদি ব্যবসায়ী জানান- তেল, মসলা, ডাল, আটা, চিনিসহ সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। খোলা বাজারে সয়াবিন তেল প্রতিকেজি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনিও একই কথা বলেন। তিনি বলেন- পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে প্রতিটি পণ্য কিনতে হচ্ছে। যেমন দামে আমরা কিনছি সেই অনুযায়ী আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। কয়েকজন ক্রেতা বলেন- বাজারে মাছের দাম ব্যাপক বেড়ে গেছে। মাছ বাজারে যেয়ে শুধু মাছ দেখে চলে আসতে হচ্ছে। হানুয়ার গ্রামের সিদ্দিক (৫৫), সাদেক (৫০), মোবারকপুর গ্রামের হানেফ আলী (৬৫), আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) সহ কয়েকজন হতদরিদ্র মানুষ বলেন- বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম বেড়েছে, তাতে চাহিদা মাফিক জিনিসপত্র কিনতে পারছি না। দাম অনেক বেশি। কি করে সংসার চালাবো, এই ভেবেই তারা সবাই এখন হতাশাগ্রস্ত।