আরিফুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
যাত্রী সেজে প্রথমে অটো রিক্সায় উঠে তারা । পরে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে চালকের মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে মুখ বন্ধ করে। এরপর হাত-পা বেঁধে বেধরক মার ডাং করে আহত করে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে অটো রিক্সাটি নিয়ে চলে যায় দূর্বৃত্তরা। শনিবার (০২ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের বকমুলা ব্রিজ সংলগ্ন মন্দিরের সামনে ঠিক এমনই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সোয়াদ হোসেন প্রতিদিনের মত ভাড়ায় চালিত অটো রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তুষভান্ডার মহিলা কলেজের সামন থেকে অপরিচিত ৪ জন যাত্রী পরিচয়ে ওই অটোরিকশায় উঠে চাপারহাট এলাকার দিকে যেতে থাকে। পথিমধ্যে ওই বকমুলা নামক ব্রিজের সামনে নির্জন এলাকায় এসে তারা প্রথমে চালক নজরুলের মুখ কসটেপ দিয়ে বন্ধ করে।
পরে হাত-পা বেঁধে বেধরক মার ডাং করে আহত করে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে অটো রিক্সাটি নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখে নজরুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ছিনতাই বন্ধে টহল পুলিশের কার্যক্রম আরো জোরদার করতে পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে এক অটো চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ৩ ছিনতাইকারী অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে সাহাদাত নামে এক অটো চালককে সারাদিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ ধানক্ষেত্রে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে যায় তারা। এছাড়াও গত ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল উপজেলার বাবুরহাট শাখাতী গ্রামের রমজান আলী নামে আরো এক অটো চালক উপজেলার বনচৌকি নামক এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। এসময় তারা চালককে ছুরিঘাত করে অটো নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।