মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলা ছাত্রলীগের থানা কমিটি শীর্ষ পদে তোড়জোড় রাজনৈতিক মাঠে ছাত্রলীগ।লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রায় চার মাস।তবে লৌহজং থানা ছাত্রলীগের নির্বাচনে বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে নেই কোন পদক্ষেপ।এতে লৌহজং ১০ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ভিতরে ক্ষোভ। যে কোন সময় হতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ।
লৌহজং ছাত্রলীগের কমিটির শীর্ষ পদে আসতে পিছন থেকে তোড়জোড় শুরু করেছেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, বিবাহিত ও বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্যরা। ইতোমধ্যে জেলায় দলের শীর্ষ পদ পেতে জোর লবিংও শুরু করেছেন তারা। অভিযোগ উঠেছে, বিতর্কিতদের মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন মাদক সম্রাট ও ছোট ছোট আওয়ামী লীগ নেতা।
জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ একটা গুরত্বপূর্ণ ইউনিট। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের লৌহজং থানা অনেক শক্তিশালী। মুন্সীগঞ্জ- ২(লৌহজং ও টংঙিবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমলি বার বার নির্বাচন সফল সাধারণ মানুষের একজনপ্রিয় নেত্রী। লৌহজং তার নিজ বাড়ি হওয়ায় ইউনিটটির বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে।
এদিকে বিতর্কিতরা লৌহজং ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভ জানাচ্ছেন ছাত্রলীগের ত্যাগী-নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, লৌহজং ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ছাত্রত্ব আছে এমন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। পরিবারের লোক আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত, ক্লিন ইমেজের যোগ্য নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত করবে এমন প্রত্যাশা সবার।
নাম প্রকাশে অনচ্ছুক লৌহজং স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতারা অভিযোগ করে বলছেন, আমরা জেলায় ও কেন্দ্রে লিখতে অভিযোগ দিয়েছি। লৌহজং ছাত্রলীগে নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে চান। আর এজন্য তারা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী কয়েক জনের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা ছাত্রসংগঠনটির জেলায় ও কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। লৌহজং উপজেলার অধিনস্ত লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রায় চার মাস হয়ে গেলেও নির্বাচনে ছাত্রলীগের যারা বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগ এর বেলায় দেখা গেছে তারা সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থী বা সমর্থকদের অব্যহতি বা সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।তবে লৌহজং উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনয় হাসান বেপারি তার পিতা বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন বেপারির প্রস্তাবকারী এবং তিনি মটর সাইকেল মার্কার হয়ে মাঠে থেকে নির্বাচন পরিচালনা পর্যন্ত করেছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সিজনজিত সরদার সাদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিমান্ত মাদবর বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাদবর এর পক্ষে থেকে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করেছেন। এমনকি সদ্য ঘোষিত লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর কমেটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান পেয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে নির্বাচন করা একান্ত মাদবর।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা আছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে কেউ কাজ করতে পারবে না। যদি এমন ঘটনা দেখা যায় তবে তাকে সাথে সাথে অব্যাহতি বা সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
কিন্তু বাস্তবে চিত্র পুরো ভিন্ন এখানে যারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন করেছেন তারাই পদে থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত সহ নতুন কমিটি ঘোষণা করছে। নতুন পদ পাচ্ছেন আর অপরদিকে নৌকার সমর্থনের দায়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমেটি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো।
এবিষয়ে লৌহজং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান লৌহজং থানা কমিটি আমি সহ এই কমিটি এর অধীনে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির কোন নেতা-কর্মী হলে আমি ব্যস্তা নিতে পারবো।থানা কমিটি সাংগঠনিক ভাবে আমি কিছুই করতে পারবো না।এছাড়া কোউ প্রমাণ সহ লিখতে অভিযোগ আমার কাছে দেয় নাই। থানা কমিটির ব্যবস্থা নিতে পারবে জেলা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটি।