নিজস্ব প্রতিবেদক।
বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর, লুটপাট করে মটর সাইকেল বিক্রির টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ সংসারের সকল জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শালকদের বিরুদ্ধে।রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া গ্রামের মৃত কাজী বদর উদ্দীনের ছেলে কাজী আব্দুস সালাম এই অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রায় ৯ বছর আগে মহৎপুর গ্রামের মোঃ নূরু সরদারের ছোট মেয়ে মনজুয়ার সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করতে থাকি। কিন্তু আমার স্ত্রীর দুই ভাই আব্দুল হাকিম ও আব্দুর রহিম, তার বাবা নূরু সরদার, মা জরিনা বেগম, বোন মনিরা খাতুন এবং খালা করিমুন বেগমের কুপরামর্শে আমার স্ত্রী বিগত ৩ বছর আগে আমার অগোচরে বিদেশ চলে যায়। সেখান থেকে ১৩/১৪ মাস পর আবার দেশে চলে আসে।
তখন আমি স্ত্রীকে মেনে নিতে অস্বীকার করলে এক পর্যায়ে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে মেনে নিতে বাধ্য হই। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই তার পরিবারের সদস্যদের কুপরামর্শে সে আবারও বিদেশ যাওয়ার জন্য পায়তারা করতে থাকে। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় আমার সাথে গোলযোগ করে বাপের বাড়িতে চলে যায়। গত ৯ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে আমার দুই শ্যালকসহ আরও ১০/১৫ জন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা আমাকে তাড়া করলে জীবনের ভয়ে আমি পালিয়ে যাই। পরে তারা আমার বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর, লুটপাট করে মটর সাইকেল বিক্রির টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্রসহ সংসারের সকল জিনিসপত্র মিলে পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
কাজী আব্দুস সালাম আরো বলেন, এঘটনার পর তারা আমাকে খুন জখম করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ভয়ে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রাণনাশের ভয়ে আজ ১৯ দিন আমি বাড়িতে উঠতে পারি না। বিষয়টি নিয়ে আমি কালিগঞ্জ থানা, সহকারি পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেল, জেলা প্রশাসক, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ও স্থানীয় সেনাবাহিনী ক্যাম্প কমান্ডারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু লুটপাট ও ডাকাতির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কোন ফল হয়নি। তিনি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।