শেখ শোভন আহমেদ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শৈলকুপার নিত্যানন্দনপুরে চলছে লাঠিয়াল বাহিনীর দৌরাত্ব। রাম দা, ঢাল, সড়কি, ধারালো অস্ত্র সহ শত শত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই লাঠিয়াল বাহিনী আজ সকালে ঝাপিয়ে পড়ে শেখরা গ্রামে। সেখানে কমপক্ষে ৩০ টি বাড়িঘর লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়েছে। হামলা চালানো হয় গ্রামটির নারী-পুরুষের উপর, এতে কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে।গুরুত্বর আহতদের মধ্যে ১৪জন কে ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাসকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে রাখে। লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব লাঠিয়াল বাহিনী ও সন্ত্রাসীরা ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাসের সমর্থক ।
তবে চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থকরা পাল্টা অভিযোগ করে জানায় সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক এর সমর্থকরা এ ধরনের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
সোমবার সকাল থেকে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে উপজেলার ১২নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের শেখরা গ্রামে।
এলাকাবাসীরা জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় মাখন নামে ফারুক সমর্থক এক ব্যক্তিকে মফিজ সমর্থকের লোকেরা মারধর করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। হামলায় কাশেম আলী, মোঃ আতাহার, আজিজুল ইসলাম,শহিদুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম. মোঃ তুহিন মোঃ শহীদ, মোঃ সবুজ, ইয়াসিন, সুজন আশরাফুল, নিশান, রাসেল, সোহাগ, মাজেদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, বাবলু সহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয় । এর মধ্যে মাজেদুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক।
শেখরা গ্রামের তাহিরুল ইসলাম, মধ, রেজাউল, শহীদ ,রাজ্জাক, মনিরুল, কালাম মিয়া, রাজ্জাক মন্ডল, আতিয়ার , মিজান মন্ডল, বশির উদ্দিন, ওবাইদুল, মোশারফ, রফি মন্ডল, সালাম বিশ্বাস, হবিবর শেখ, মোজাম শেখ সাইফুল ইসলাম, শাহীন শাহাদত হোসেনসহ ৪০ জনের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় ।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, শেখরা গ্রামে ভাংচুরের ঘটনায় সাথে সাথে তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র করছেন এবং এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছেন।
বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে সমাজপতি, ইউপি সদস্য ও লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে হাজার হাজার দেশীয় অস্ত্রের মজুদ রয়েছে। এসব উদ্ধার ও আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আবারো সংঘর্ষ ও হানাহানির আশংকা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা ।