সোহারাফ হোসেন সৌরাভ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জ উপজেলার মৃত আসাদুল ইসলামের দীর্ঘকাল ৫০বছরেও বেশি ভোগ দখলকৃত সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষ শ্যামনগর উপজেলার একাধিক নাশকতা মামলার আসামি সাবেক ইউপি সদস্য শুকুর আলী। ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে জমি দখলের পাঁয়তেরা করে আসছিল।
তারই জের ধরে আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে । গত ২৯-০১-২০২৪ গভীর রাতে শুকুর আলীর মেম্বারের ক্যাডার বাহিনী সন্ত্রাসীরা মৎস্য ঘেরের প্রবেশ করে বাসাবাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক শ্যামনগর থানায় অবগত করিলে।
থানা থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে স্থানীয় শ্যামনগর ফায়ার সার্ভিস অফিসের সদস্যরা এসে অনেক কষ্ট করে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। ঘটনাস্থল ঐদিন রাতে স্থানীয় প্রতিবেশীরা শোকর আলী সহ তার সন্তাসী বাহিনীদের ঘটনাস্থল থেকে পালাতে দেখে। উল্লেখ্য যে, গত ১৯/০১/২০২৪ তারিখে উক্ত দলবদ্ধ আসামিরা রাতের অন্ধকারে আমার হ্যাচারির মৎস্য ঘেরে ভেকু দিয়ে ভেড়ি বাঁধ নির্মান করে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করি বর্তমানে উক্ত অভিযোগের বিষয়টি বিচারাধিন/তদন্তনাধীন আছে।
আজ সকালে উক্ত সম্পত্তির মালিকাধীন মৃত আসাদুল ইসলামে স্ত্রী মাফুজা খাতুন বেলা আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার সময় থানায় যাওয়ার পথে মৎস্য হ্যাচারিতে আসামীদের দলবদ্ধভাবে অবস্থান করতে দেখে গত রাতে আগুন দিয়ে ঘর জালিয়ে দেওয়া ঘটনার বিষয়ে ও জমিতে অবৈধ্য প্রবেশের বিষয়ে প্রতিবাদ করিলে আসামীর অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে এবং উক্ত আসামীরা শারীরীক ও মানসিক ভাবে শীলতাহানি সহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা মাফুজা খাতুনকে হত্যার চেষ্টা করিলে স্থানীয় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ।
মৎস্য ঘেরের বাসাবাড়িতে আগুন লাগানো সহ সম্পত্তির মালিকাধীন মৃত আসাদুল ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন শারীরিক নির্যাতন সহ বেদম মারপিটের ঘটনার বিষয়টি মুঠো ফোনে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমরা এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।