শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকার উপর হামলা 

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৭ বার পঠিত

এস এম জীবন রায়হান,শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ১০৩ নং উত্তর ভূমখাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে কুলসুমের (৫৫) উপর শ্রেণিকক্ষে হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় তার মেয়ে বাদী হয়ে নড়িয়া থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানরত অবস্থায় উম্মে কুলসুমের উপর অতর্কিত হামলা চালান মুন্নি আক্তার, যিনি বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী কাজীর বাড়ির কেয়ার টেকারের মেয়ে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুন্নি আক্তার শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষিকাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এতে উম্মে কুলসুমের পিঠ, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলে মুন্নি আক্তার তার গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টা করেন।

এমতাবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে অভিভাবকরা  শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিভাবক ও স্থানীয়রা আহত শিক্ষিকাকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ঘটনার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল নিরব ভূমিকা পালন করেন এবং তিনি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি জানান।

তবে শিক্ষক মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ঘটনার সময় দ্বিতীয় শ্রেণীতে পাঠদান রত ছিলাম এবং আমার শিক্ষিকা উম্মে কুলসুম শিশু শ্রেণিতে পাঠদান রত ছিলেন , তখন মুন্নি আক্তার নামে এক মহিলা শিশু শ্রেণীতে ঢুকে আমার শিক্ষিকার উপর অতর্কিত হামলা চালান। অভিভাবকরা আমাকে জানালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমি শিক্ষিকা উম্মে কুলসুমের গায়ে, নাক, মুখে আচড় এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই । অতঃপর আমি মুন্নি আক্তারকে স্কুলের সীমানার বাহিরে বের করে দেই এবং অভিভাবকদের শান্ত থাকতে বলি। স্কুলে শিক্ষক কম থাকায় আমি কোথাও যেতে পারিনি এবং মোবাইলে ব্যালেন্স না থাকায় আমি কাউকে জানাতে পারিনি। তবে ঘটনার পরেরদিন আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করি।

এ বিষয়ে নড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জের ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নড়িয়া-জাজিরা সার্কেল এসপি আহসান হাবিব বলেন, শুনেছি এ ঘটনাটি স্কুলের বাহিরে ঘটেছে, তবে মামলা করলে আইনত ব্যবস্থা  নিব। তবে এ ব্যাপারে কাওকে এখনও আটক করা হয়নী।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।